আসরের প্রচীন কবি - ‘ছড়া ছন্দে ছড়ায়’-এর ‘সাপ্তাহিক কর্মকাণ্ডে আছি’ শির্ষক কবিতায় অনুপ্রাণিত হয়ে লেখা কবিতাটা তাঁকেই উৎসর্গ করলাম:

জোৎস্নাবেলায় ভেসে যা'ব নীল দিগন্তে
হারাব না বিজলীর তড়িৎ আভায়,
থাকব চেয়ে দুটি মীনাক্ষী মেলে -
পড়বে না চোখের পাতা...

সাতাশ পেরনো চাঁদ অস্থির সময় গোনে
পূর্ণতার নেশায় প্রসববেদনা ভুলে
আহ্নিক আবর্তে হারায় নিজের ঠিকানা
খুঁজে নেয় পুনঃ প্রজন্ম-তিথির নতুন প্রহর।

বিগ্রহ সময় এড়ে আর যদি আ’স ফিরে  
মায়ের আঁচল ছুঁয়ে অবনীর গৃহকোণে
ভাসাবে ভুবন, স-ঘন বন তোমার
ওই পূর্ণ তিথির পূণ্য দিয়ে।
----------------------------

🔯 আমার লেখা অংশটি "জলতরঙ্গে কাব্যভেলা" (পৃষ্ঠা - ০৮) সংকলনে প্রকাশিত হয়েছে।


মূল কবিতা:

সাপ্তাহিক কর্মকাণ্ডে আছি
- ছড়া ছন্দে ছড়ায়

সাপ্তাহিক কর্মকাণ্ডে আছি
ইথারিয় সংকেত নেই কোনো বিজলীর কোথাও
ঝড় থেমে যায় বুঝি তীর্থ ভ্রমণে মনে মনে;
এখানে পাতায় পাতায় কতো রঙে রোদ
খেলে যায় নন্দন পাড়ায়; -
পূর্ণতার চাঁদ কোথায়!

সাতাশে শেষ হতে পারে না কোনো মাস;
চাঁদ পূর্ণতা চায় খুব কাছে এসে মাসে মাসে।

সাপ্তাহিক কর্মকাণ্ডে আছি
আবার ভাসবো বলে জ্যোৎস্নাবেলায়।