বর্ণান্ধ স্রোত আর ভালোবাসার আবেগী মোহ
দুইই সম অন্ধ হেন; নাক বরাবর
বোঝে না গড়ান মাঠ,
দেখে না সে উঁচু কি বা নিচু
কী তার যায় আসে -
বারিত কি অবারিত আকাশের লেজে?
জ্যোৎস্নার গন্ধলোভী চাতক যে মন
তার রঙিন পেখম খুলে,
নিগূঢ় ভাবনাটি তুলে ধরে
কী খুঁজে সে সদা অনুক্ষণ
বুঝবে তা কে? কে জানে কখন সে
কার পানে ধেয়ে যায় চুপিসারে আনমনে!
রূপে কী অরূপে চাঁদকে ভালোবেসে
অনাদি কালের অনন্ত প্রহরে
বোবা মন বুকে কেঁদেছিল যৌবতী নদী
তার কী এমন প্রভাব গুণ;
চাঁদের পরশে সাগরের বুকেও
জাগিয়ে তুলে প্রেমাগুন।
দিনের গভীরে লুকায় যে রাত
দিনগুলো যায় রাতের জঠরে
কালের সুরম্য প্রদোষ না হলে
অমানিশা কখনো কি থিতু হয়?
চাঁদ তাড়িয়েই ফেরে সতত তারে
পূর্ণিমার জলে ধুয়ে নিতে ফর্সা করে।