পরিযায়ী সুখ আর শান্তির বেলাভূমে
খুঁজে পেয়েছি কতক গাঙচিলের খসানো পালক,
তারামাছের বিরহ ছাপ আর হিংস্র জেলীফিসের নিরীহ আস্ফালন।
প্রবালের শিলা-কঙ্কালে খুঁজে পেয়েছি প্রয়াত প্রাণের কোমল চিহ্ন,
সাগর তরঙ্গে নির্বিকার শৈবালের ভাবাবেগ...
জলজের ইতিকথায় মোড়ানো এক স্তিমিত আখ্যান।
মেদুর ছায়ার দুঃখে শান্ত আকাশ
কষ্টে লিখে রাখে বিরহের দিনলিপি
আত্ম-বিশ্বাসে ক্রমশ স্ফীত হয় মন্দ প্রহর,
গ্ল্যাডিওলাসের পাপড়িতে খসে পড়ে
গাঙেয় জোছনার ছড়ানো আক্ষেপ।
ফেননিভ উপত্যকায় বর্ণিল প্রজাপতিরা
স্বপ্নের মৃদুল দোলায় তরঙ্গায়িত
কুসুমে ওরা মুখ গুঁজে সুখ খোঁজে নেয়
দিবাবসানে উড়াউড়ি শেষে যোগাসনে বসে;
জিড়োয় খানিক, প্রত্যাশে আবার ছুটে অনিবার।
সোনামুখী রোদের ঝালরে ছাই, উড়ে বাস্পকণা
প্রত্যাশার ক্যানভাসে ছড়িয়ে তখনো স্মৃতির উষ্ণ আভা
শান্তির প্রহেলিকা তবু সুদুরেই থাকে
হাতছানি দিয়ে যায়, মোহন মায়ায় ডাকে –
আয়, আয় - এ-বেলা পরশটুকু নিয়ে যা।
____________________
⭐কবিতাটি "বাইনারি সুখের পিদিম" (পৃষ্ঠা-৭৪) কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত।