গতকাল ১৪ জুলাই শনিবার - আসরের বরেণ্য কবি কবীর হুমায়ূনের সভাপতিত্বে ও ছান্দসিক কবি মুহাম্মদ মনিরুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বাংলা কবিতা আসরের নতুন আন্দোলন - "আলোর মিছিল"এর ঢাকা কেন্দ্রিক কবিদের নিয়মিত আড্ডা। এই আড্ডার আসর কবি ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাব্যক্তিত্ব (গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক - প্রশিক্ষণ) জনাব জালাল উদ্দিন মুহম্মদ।
পূর্ব ঘোষিত সময় অনুযায়ী নিম্নবর্ণিত নিবন্ধিত কবি ও অতিথিবর্গের উপস্থিতিতে বিকাল চারটায় অনুষ্ঠানটি শুরু হয়ে অনুষ্ঠানসূচি মোতাবেক দুটি বিরতি সহ অনুষ্ঠান চলে রাত নয়টায় শেষ হয়।
উপস্থিত কবি সদস্য ও অতিথিবৃন্দ (সর্বজনাব):
০১। মো: মোজাম্মেল হোসেন
০২। জ. র. জিম
০৩। মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান
০৪। রুনা লায়লা
০৫। কবীর হুমায়ূন
০৬। আফরিনা নাজনীন মিলি
০৭। গোলাম রহমান
০৮। মো: ফরিদ হাসান
০৯। সরকার মুনীর
১০। জাহাঙ্গীর কবীর
১১। রুহান
১২। শব্দ মাধুকরী
১৩। মোঃ জাহিদ হাসান
১৪। জালাল উদ্দিন মুহাম্মদ
১৫। মনিরুল ইসলাম মনির
১৬। জাহিদ হোসেন রনজু
১৭। হুমায়ুন কবির
১৮। সরদার আরিফ উদ্দিন
১৯। অনিরুদ্ধ বুলবুল
২০। এইচ আই হামজা
২১। মো: মুস্তাফিজুর রহমান
২২। সোহাগ আহমেদ
২৩। জে আর এ্যাগ্নেস
২৪। মোঃ শামীম উল্লাহ্ এবং
২৫। মোঃ সাইফুল ইসলাম (অতিথি)
আড্ডার শুরুতেই আসর কবিকে সম্মাননা স্মারক (ক্রেস্ট) এবং ফুল, অপরাপর কবিদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। উপস্থিত কবিদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে নিজ নিজ পরিচিতিসহ স্বরচিত কবিতাপাঠের ফাঁকে ফাঁকে আসর কবির কবিতা পাঠ ও অভিজ্ঞতার বর্ণনে আড্ডাটি প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছিল। অত্যন্ত সৌহার্দ্রপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত আড্ডাটি মাননীয় সভাপতির ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মাধ্যমে শেষ হয়।
অনুষ্ঠানটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে যেহেতু আমি ছিলাম এবং মিলনমেলাটির আহ্বান করছিলাম তাই আমি এর সফল সম্পন্নতার সংবাদটুকুই শুধু পরিবেশন করছি। অনুষ্ঠানের সার্বিক অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি ব্যক্ত করে বরাবরের ন্যায় অপর কবিরা হয়তো বর্ণনাঘন সরস রচনা উপহার দিবেন। তাই আর সেদিকে যাচ্ছি না, কেবল সংবাদ হিসাবে আসরের কবিদের জ্ঞাতার্থে কয়েকটি বৈশিষ্ট্যপূর্ণ আলোচিত বিষয় তুলে ধরছি।
যথারীতি অনুষ্ঠানসূচির পাশাপাশি এবারকার আড্ডায় কয়েকটি যুগান্তরী বিষয়ও আলোচিত হয়। মাননীয় এডমিনের অনুমতি পেলে আরো বিস্তারিত ও বাস্তবায়নমুখী উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে:
১) এই আড্ডাকে কেন্দ্র করে এখন থেকে 'আলোর মিছিল - বাংলা-কবিতা আসরের সাহিত্যপত্র' নামে একটি সাহিত্য সাময়িকী প্রকাশিত হবে। এতে থাকবে আসর কবির জীবনবৃত্তান্ত, উপস্থিত কবিদের সংক্ষিপ্ত পরিচিতিসহ আড্ডায় পাঠকৃত কবিতা, কবিতা/সাহিত্য বিষয়ক শিক্ষামূলক প্রবন্ধ, উক্তি ইত্যাদি এবং আসর সংশ্লিষ্ট ঘোষণা ও তথ্যাবলী।
২) এখন থেকে আড্ডা প্রতিমাসের কোন সুনির্দিষ্ট দিন-তারিখে নয় বরং উদ্যোক্তাদের সুবিধামত সময় সুযোগে অংশগ্রহণেচ্ছু কবিদের সম্মতিক্রমেই অনুষ্ঠিত হবে। তবে যেন প্রতি দুইমাসের মধ্যে অন্তত এক বা একাধিক বার হয় সেটা নিশ্চিত করা।
৩) গতকালের আড্ডাটিকে আমরা চতুর্থ আড্ডা বলে চিহ্নিত করেছিলাম কিন্তু এই ক্রমিকায়ণটি ভুল। আসরের প্রবীণ সদস্য কবি কবীর হুমায়ূনের বিধৃত ভাষ্য মতে, গত ফেব্রুয়ারি ২০১৮ জাতীয় জাদুঘরে অনুষ্ঠিত কবি সম্মিলনটি ছিল বাংলাদেশ ভূখণ্ডে অনুষ্ঠিত বাংলা কবিতা আসরের ৮ম সমাবেশ। সুতরাং সেই হিসাবে এই আড্ডাটি হবে ১২তম সমাবেশ বা আড্ডা। কাজেই এই আড্ডাটি ১২তম আড্ডা বলে স্বীকৃত হবে। সেই হিসাবে আমাদের পরবর্তী আড্ডার ক্রমিকায়ণ হবে ১৩তম।
মোটামুটি এই ছিল গতকালের আড্ডার সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন। আশা করব, 'আলোর মিছিলে'র যে মশালটি জ্বলে উঠেছে সেই মশালের প্রজ্জ্বলন যেন সদা থাকে অনির্বাণ। অংশগ্রহণকারী কবি বন্ধুদেরসহ আসরের সকল কবি ও শুভানুধ্যায়ীকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। আশা করি, দিন দিন এই আন্দোলন আরো বেগবান হবে। সবাইকে ধন্যবাদ।