প্রপাতের দৈর্ঘ-প্রস্থ মাপতে এসো না বন্ধু
নেত্র প্রবাহের নোনাজলে যাবে যে ভেসে
পা’র তো বুকের লাভাটি বন্ধ ক’র
যা - আমার হাজার জন্মের কৃত ফসল।
যে নিদাঘ দহন ধিকিধিকি জ্বলে হৃদয় তিমিরে
বন্ধ কূপের বুদবুদ ধুয়ে বাষ্প হয়ে উড়ে
প্রপাত সলিলে, বিস্তৃতি তার যাতনা পাতনে,
ঝরে বারি অবিরল অনিমেষ আঁখিপাতে।
সাগরের কান্না - সে যে তার বুকে ফোটা বেদনা
চাঁদের পরশে জাগে ভালোবাসার এষণা।
জলজ পথের ধারে, অচেনা গোষ্পদে –
আরশি হাতে ঘাপটি মেরে শুয়েছিল উদাসী আকাশ
নির্মোঘ তাড়নায় ফসকে গেলে সময়ের ঘুম –
মুখ দেখে নিই তাতে, বেশবাস করি পরিপাটি...
আধো নিদ্রায় জাগরণে অপূর্ণ জীবনের ঘানি
টানতে টানতে কখন যে তা পূর্ণ হয়ে গে’ল!
বোঝে উঠার আগেই যাত্রার রাশ টেনে
আবার দেখি যাবারও সময় ঘনিয়ে এ’ল!
ঘনঘোর ঝড়ো হাওয়া... পাতা উড়ে যায়
ডিগবাজি খায়, ভাসে স্মৃতির মিহি কুয়াশায়
আলোছায়ার ঝাপসা প্রপাতে গড়ায় সুখের জীবন
আর নিজেকে হারিয়ে খুঁজি দুঃখের মেলায়।
🔯 কবিতাটি "দ্বাদশ রবির কর" (পৃষ্ঠা - ১২) কাব্য সংকলনে প্রকাশিত।