স্নেহ-বঞ্চনায় বেড়ে উঠে প্রকৃতির সন্তান
স্ব-গুণেতে গড়ে নেয় সে আপন অধিষ্ঠান!
সময় থাকে না স্থির একদা বদলেই যায়
কি জানি, কখন বিধির কী বা অভিপ্রায়!
দুরন্ত সারস চঞ্চু ঠুকরিয়ে খায় সোনা ধান
মোহন মধুর সুর লাগি পেতে রাখে মন কান!
কেউ বলে খদ্যোত - জোনিপোকা জোনাকি
তার আলোর কী কাজ আছে কারো জানা কি?
তবু, হতাশা কী যাতনায় আনন্দ বেদনায়
অনুভূতির তন্ত্রীগুলো তীর পানে ধেয়ে যায়!
কখনো সে বিষণ্ণ, কখনো আনন্দিত উদ্বেল
দুরন্ত সাহসে লড়ে, নিমেষেই শান্ত সরখেল।
এই কি বাস্তবতা - নিয়তির নিদাঘে জীবন?
সুখের দোলায় ভাসে, নয় করে কষ্টে তরণ।
তা-ই যদি হয় শাশ্বত রূপ জীবনের পর্বে
পরদুঃখে কাঁদুক এ বুক ভাসুক তা গর্বে।
খর নদী ভরে না, কালে ক্রমে হয় সে গভীর
মরা নদীর চরা জাগে স্রোতধারাও রয় স্থির।
সুখ-দুঃখ দুই ভাই, জীবনে পাশপাশি চলে
এক-কে যায় না বোঝা অপরকে না পেলে।
____________________
⭐কবিতাটি "সম্ভার" (পৃষ্ঠা-১২) কাব্য সংকলনে প্রকাশিত।