বারবার আস তুমি আস নানা বেশে
ঊষাজাগা কালে কি বা জীর্ণ প্রদোষে
তুমি এলেই প্রজাপতি পাখনা মেলে
রঙধনু সাত রঙ আকাশেতে ঢালে
তুমি এলে জীবনটা হালকা লাগে
ঘনঘোর বরষায়ও ফাগুন জাগে।

নও তুমি মায়াবিনী নও উর্বশী
চিত্ত মাঝে জেগে থাকা দীপ্ত শশী
তুমি এসে মনোঘরে যখনি দাঁড়াও
কখনো হাসাও ফের কখনো কাঁদাও
তোমার এ ছলাকলা বোঝা বড় ভার
রাজা সাজে ভিখারি ছেড়ে দরবার।

তুমিহীন এ জীবন লাগে গুরুভার
তোমার দুঃখে কাঁদি, হই জার-জার
তুমি এলে নদী যেন স্রোত ভুলে যায়
মনে পোষা ব্যথা-জ্বালা নিমেষে লুকায়
তুমিহীন এ জমিনে স্বপ্ন না চরে
জীবনাটা লাগে দেখি অতি নড়বড়ে।

মরু ধু-ধু জীবনটা তুমি বিনে মাটি
জীবনের আড়বাঁশী অচলের লাঠি
তুমি আছ জীবনে যার আছে তার সুর
আশার প্রদীপ জ্বেলে তামসকে কর দূর।
হয়ে আসো প্রেরণা কাঞ্চনী হেম
তুমি হলে জীবনে অমূল্য ‘প্রেম’।
____________________
★ কবিতাটি 'কাব্য কৌমুদী' (পৃষ্ঠা-১৩) ২০১৬, সংকলনে প্রকাশিত।
⭐ কবিতাটি "বাইনারি সুখের পিদিম" (পৃষ্ঠা-৬৭) কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত।