বসন্তের এই স্নিগ্ধ প্রত্যুষ; প্রাণের তোরণ খোলা
লাল কোরকের পাপড়ি ছুঁয়ে হৃদয় মেলে ধরা।
শীর্ণ হিয়ার দীর্ণ ফাটল ঢেকে, অমারাতের আঁধার ছেপে
অশ্রুবারি লুকিয়ে চলে মনের কথা বলা।

ব্যস্ত কালের ভুবন ‘পরে চক্রাকার ঘুরছে সব
এই নিরালায় ভাবছি বসে করার কিছু নেই বুঝি
নিরন্তরই দীর্ঘপদে ছুটছে মানুষ হন্যে হয়ে
ধরছে কালের টুঁটি চেপে তপ্ত সময় মুঠোয় পুরে।

কার আশাতে বিমল ধারায় জাগছি বসে এই রাতে
বাঁধ ভাঙা সেই শ্বেত-প্লাবনে কুমুদবতী যায় ভেসে
অম্লমধুর সুর জাগে হায় এই ধরণীর কোন কোণে
রাগ-বিরাগের ঢেউ উঠে মোর শূন্য প্রাণের গগনপুরে।

বন্ধ আগল ফাঁক করে কে ভাসায় ছায়া আরশিতে
সিক্ত আলো বাঁধ সেধেছে আবছা সুখের দৃষ্টিতে।
নিঝুম রাতের তিন প্রহরে আছি বসে অপেক্ষায়;
বলবে কখন - প্রাণের স্বামী হৃদয় আলোয় দাও ভরিয়ে!
____________________
⭐ কবিতাটি "বাইনারি সুখের পিদিম" (পৃষ্ঠা-৩৫) কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত।