তীব্র যাতনার হলাহল পানে -
অব্যক্ত উল্লাসে মগ্ন হৃদয় প্রত্যয়ের ধ্যানে।
নিয়তির ছায়ে ভগবানে আশ্বাস,
মরুবুকে জাগে প্রভঞ্জন উদ্দাম।
শীতল পায়ে দণ্ড গড়ায়,
আবেশ মলিন, ধ্বসে যায় সুখ
বিশুষ্ক হৃদে, সময় যাতনা বাড়ে।

জীবন যখন শিকলে শালীন দুরাশার মরুতটে
অনন্ত তৃষা স্বপ্ন বোনে –
যাতনার কারাগারে।
নিঃশঙ্ক সোহাগ অমিয় প্রণয়,
মিছে আয়েসের আশা।
বন্দিনী কায়া নির্বাসনে হায়,
উচ্চাশার প্রশ্রয়ে - জাগে কিছু সুর।

ঐ সিটি বাজে; সময় হলো যে যাবার
স্তব্ধ আবেগ ইতি-উতি খোঁজে
সুজনের ব্যর্থ বাথান প্রেমহীন জীবনের তীরে।
বিহগের প্রাণে শেল বঞ্চনার আঁচলে বাঁধা
নিগড় নিলয় ভূমে প্রেমহীনতার শিকড় গাঁথা
বিম্বিত প্রচ্ছদে “সময় হলো গো যাবার” –
ডাকে সে সুজন চুপিসারে।

আজি এ বিদায়ের ক্ষণ
দুরন্ত ছলনার নিঠুর পীড়নে বাজে।
কুয়াশার মায়া বনানীতে লীন
সুখ সাগরের কম্পিত ধারা।

নিরাসক্ত যামিনীর ক্লান্ত শিরায়
স্রোতস্বিনী বহে অনন্ত ফল্গু-লয়ে,
নামে হিমেল হাওয়া, তেড়ে আসে বিধি
সময়ের তাল বুননে আয়েস বিধুর
করো কল্যাণকর কিছু, আরো মঙ্গলময় কিছু।
------------------------------

★ কবিতাটি 'সময়ের বাওকুড়ানি' (পৃষ্ঠা-৭২) কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত।

* বরাবরই ছন্দ যোগে পয়ারের অন্তমিলে পদ্য লিখতাম। একসময় আধুনিক ধারার গদ্যরীতির কবিতা পড়ে মনে হ’ল একটু চেষ্টা করে দেখি! যেই কথা সেই কাজ, সাহস করে আশি-র দশকে লিখে ফেললাম কয়েক লাইন... তারপর আধুনিক ধারার অনেক কবিতাই লিখেছি কিন্তু প্রথম লেখাটা এদ্দিন পড়েই ছি’ল। অধুনা মনে হ’ল আসরে বহু আধুনিক কবি আছেন, কবিতাটি পোস্ট দিয়ে দেখি আধুনিক কবিদের প্রতিক্রিয়া কি! বন্ধুদের মুক্ত সমালোচনা আহ্বান করছি। ধন্যবাদ।