বন্ধুরা,
লৌকিক প্রীতি ও শুভেচ্ছা নিয়ে আপনাদের সভায় ঢুকে পরলাম, একটু অংশ গ্রহণ করি? সবার জন্যে অনেক অনেক শুভ কামনা ও ভালোবাসা।
আজই প্রথম সাইটটিতে ঢুকেছি। কারো লেখার সাথেই পরিচিত নই। সাইটে ঢুকেই যা বুঝতে পারছি এখানে প্রচুর লেখকের সমাগম আছে। বেশ কিছু শক্তিমান লেখকের লেখাও পড়লাম ভাল লাগল। কিছু লেখায় উদ্দীপক, গঠনমূলক সমালোচনা ও মন্তব্য করেছি। গোটা তিরিশেক লেখা পড়েছি, দশ বারটি লেখায় মন্তব্য না করে পারিনি। বলা যায় বাধ্য হয়েছি। (সবিনয়ে কারো লেখার খুঁতগুলোও নির্দেশ করেছি) বাকিগুলো আমার সীমাবদ্ধ বোধের অগম্যতায় অথবা সময় স্বল্পতায় করা হয়নি। সময় থাকলেও স্পৃহা না জাগলে করতামও না।
আমি আলোচনা করতে চাই 'মন্তব্য' বিষয়ে। নিজের লেখায় মন্তব্য পাওয়া এবং অন্যের লেখায় মন্তব্য রাখা নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন লেখকের প্রত্যাশা ভিন্নতর থাকতে পারে। কারো মধ্যে কিছু অযাচিত পুলক অথবা হতাশও কাজ করতে পারে। হয়তো খানিক আমারো...
এ-বিষয়ে নিজের মতামত ব্যক্ত করছি - ভিন্ন ভিন্ন লেখকের লেখার মান, বিষয় ও প্রকাশ ভঙ্গিমা ভিন্নতর হবেই; কোন লেখা সহজবোধ্য, কোনটা অতিমাত্রায় বিমূর্ত অথবা কিছুই নয়। আবেগ ও বিবেকে যে পাঠক নির্মোহ নয়, লেখা তার মন ছুঁয়ে গেলে যে-কারো লেখায় মন্তব্য করা তার আপনিই এসে যায় (সময় সুযোগ মিললে)। পাঠক তখন মন্তব্য না করে পারেনই না। আমি মন্তব্য করি তেমনি তাগিদ থেকে।
মূল কথা; পাঠকের প্রতিক্রিয়াজনিত মন্তব্য লেখক নিজেই আদায় করে নিবেন, তবেই তিনি সার্থক লেখক। আমি মনে করি; না বোঝে নেহায়েত চাটুকারী মন্তব্যে বরং ভাল লেখকের অপমান।
কিন্তু কাউকে যখন দেখি, লেখা না বোঝে নেহায়েত নিজের লেখায় প্রতি-মন্তব্য পাওয়ার আশায় অযথা বাহবাসূচক চাটুকারী বুলি সমানে 'কাট এন্ড পেস্ট' করতে থাকেন তখন বিব্রত বোধ করি। এতে লেখকের কতটুকু উপকার হয় জানি না তবে তাতে মন্তব্যকারীর রুচি ও বোধের পরিচয় পাওয়া যায়। আমার বিব্রত হওয়ার কারণ সেখানেই।
নতুন লেখককেও উৎসাহ দিতে হবে বৈকি। উদ্দীপনা পেলে তবেই না তিনি আরো ভাল করতে চেষ্টা করবেন। কিন্তু তাই বলে না বোঝে যাচ্ছে-তাই উদ্দীপনা যত না লেখকের উপকার হয় তারও বেশি কবিতা-পাতার মান ও সৌন্দর্য বিঘ্নিত হয়। সে বিষয়টা মাথায় রেখে প্রাসঙ্গিক সমঝদারীত্বের অংশগ্রহণমূলক মন্তব্য হলে কবিতা-পাতার সৌন্দর্য যেমন বাড়ে, তেমনি লেখকেরও উপকার হয়, আর মন্তব্যকারীর মান সম্পর্কেও পাঠকের মনে একটা স্বচ্ছ ধারণা তৈরী হয়।
আর একটা বিষয়; বানান ও যতি চিহ্নে আমিও ভুল করি তবে সচেতন থাকতে চেষ্টা করি। আমার বানান ও যতিচিহ্ন যেন কারো বিরক্তির উগ্রেক না করে, কবিতার পাতা অপরিচ্ছন্ন হয়ে না পড়ে। সবাই সে বিষয়টার প্রতি আরো বেশি যত্নশীল হলে আমাদের সাহিত্য সমৃদ্ধ হবার পাশাপাশি আরো বেশি পরিশুদ্ধ হবে।
লেখাটা বড় হয়ে যাচ্ছে, আপাততঃ এখানেই থামছি। অন্যদিন না হয় অন্য কোন প্রসঙ্গ নিয়ে আবার আপনাদের কাছে আসব?
সবাই ভাল থাকুন। মননে সৌরভে সবার জীবন হয়ে উঠুক আরো কাব্যময়, স্বচ্ছন্দ্য ও প্রীতির আধার।