অভিধান বানাবো –
এক শুদ্ধতার অভিধান
ঠিক আমার খায়েস মতোই!
শুদ্ধতার শুদ্ধতা নিয়ে কেউ প্রশ্ন করো না
আমি বিব্রত হতে পছন্দ করি না!
আমি যা জানি তোমরা তা জানো না
তোমরা যা জানো – আমি তা মানি না
সুতরাং, আমি যা জানি তা ই করবো ব্যস।
ঈশ্বর আমায় নিযুক্ত করেছেন,
ঈগল পাখায় সাজিয়েছেন
- এ কথাই শেষ!

অভিধান আমাকেই রচনা করতে হবে
কেননা;
আমার পিতা, তার পিতা, প্রপিতাগনের...
বংশ পরম্পরায় -
একমাত্র যোগ্য উত্তরসূরি তো আমিই।
তারা আমায় শব্দভান্ডার উপহার দিয়েছেন
আমি কারুশিল্পী, আমার মৃৎপাত্রের কত হেমপ্রভা!
আমার গুণী সন্তানেরা নানান কৌশলে
নতুন শব্দমালা তৈরী করেছে ঠিক আমারই মত
তাই তো এ অভিধান হবে শুধুই আমার
আমাকেন্দ্রিক – আমিময়...

এই অভিধান হবে
উত্তর থেকে পূর্ব, ঈশান থেকে নৈর্ঋতে বিদ্ধ
সকল ইচ্ছার প্রতিফলনে গাঁথা সার্থকতার রূপায়ণ।
- জয়তুঃ ঈগলপাখা! জয়তুঃ খায়েস!!
____________________
⭐কবিতাটি "বাইনারি সুখের পিদিম" (পৃষ্ঠা-১৮) কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত।