তুমি আসবে –
শুধু এই ভাবনায় কাটিয়ে দিতে পারি মহাকালের খণ্ডিত সীমানা,
বেড়ে যায় যাক; কৃষ্ণ-গহ্বরের আঁধার নীলিমা,
দিতে পারি পাড়ি ওই দূর মঙ্গলের পিঙ্গল প্রান্তর,
প্রশান্তে শিশির হয়ে ঝরে পড়ে বাড়িয়ে দিতে পারি স্রোতের নহর...
তুমি আসবে, সেই ভাবনায় –
কাটিয়ে দিতে পারি কৌমার্য ক্ষয়ে যাওয়া অকাল সন্ধ্যা,
হজম করে নেব চুঁইয়ে পড়া বৃষ্টিধারার নির্লজ্জ শলীলকলা,
কেউ বোঝে না, আমি জানি; তোমার পদস্পর্শের বিনোদ পেষণে
কামারশালার লোহা পেটানো ঝংকার হয়ে উঠে সুরভিত কুসুমের বিমল দ্যোতনা।
তুমি আসবে তাই –
লাস-পালামাস্ থেকে সমুদ্র দেখি,
বুকের বন্দরে নোঙর পোতার ঠাঁই না পেলে
তোমার জন্যে অবশেষ রইল –
আমার নিঃশঙ্ক চিত্তের নিবিড় পোতাশ্রয়খানা।
অতঃপর তুমি নিঃশঙ্ক হও,
আস্থায় সাবুদে আমায় প্রাণেতে ধারণ কর।
____________________
⭐কবিতাটি "বাইনারি সুখের পিদিম" (পৃষ্ঠা-৭৮) কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত।