ছন্দহারা নন্দবাবু
আছেন মহা ফাঁপড়ে
যা-ই করেন গিন্নী বলেন
‘করছো কি হে বাপুরে’?
বাড়া-বাড়ির বাড়াবাড়ি
সবকিছুতেই বাগড়া ধরি
কর্মরুচির বাড়াবাড়ি
সকল কজেই খুঁত ধরি।
কথার তেজে বাড়াবাড়ি
মৌনতা হয় ঘৃণাতে
অবহেলার বাড়াবাড়ি
ভালবাসার বেলাতে।
মৌন যখন ছন্দ-পতন
কাড়াকড়ির অধো-গতি
মুগ্ধ চোখে তাকায় না যে
দেখলে কারো অগ্রগতি।
ঋদ্ধকাঠি গোবাক তরু
করতে গেলে কোলা-কুলি
বন্ধু হলেই ঊন-তরাসে
করতে আসে গলা-গলি।
ছন্দ বিহীন দ্বন্দ্ব লাগে
অতি সুখের জাড়া-জড়ি
অল্প দুঃখেও কাতর অতি
কখন যে হয় ছাড়া-ছাড়ি।
জোরাজুড়ির বাড়া-বাড়ি
আপন কাজের মহিমায়
বিরক্তিকর ঘোরা-ঘুরি
আদনা কাজের প্রতীক্ষায়।
মনোকষ্টের ছড়া-ছড়ি
গুমরে কাঁদা ব্যথার পাহাড়
ঝর্ণা ধারায় বহে নদী
তুচ্ছ শোকেই অকুল পাথার।
- - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - -
★ কবিতাটি 'স্বপ্ন কাজল' (পৃষ্ঠা-৩৬) কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত।