বিষণ্ন বাতাসের এ কি প্রচ্ছন্ন সাজ
দুর্বোধ্য এক প্রহেলিকার জগৎ
মননে কুজ্ঝটিকা ঝড়, চোখে কুয়াশা;
বিচিত্র আলোর বাহার তবু দেখি
সবই যেন ঘোর অমানিশা!
যন্ত্রণার জঘন্য আপদ নিরসনে
যার কাছে যাই সে ই অপারগ, অসহায়,
আয়েবেতে ঢাকে মুখ, লুকায় অকারণ;
সময় তারো যথার্থ বৈরী তখন
কিছুই নেই মোটে তার অনুকূল!
অথচ সমস্যা যার নেই কিছু জানা,
জানার কথাও নয় মোটে
সে ই কি না ছিল সিদ্ধহস্ত অমোঘ ত্রাতা!
আ হা হা - সে কী সেলুকাস্!
অনুশোচনার নেই সূচনা, নেই অবকাশ।
যারে খুঁজে চষে ফিরি ধরা ত্রিভুবন
সে ই কি না পিঠে বাস করে!
যাকে ছিল একদা খুবই প্রয়োজন
সে ও কি না খুঁজেছে আমাকে
তারও দরকার নাকি অধমের মত অভাজন।
যে ছিল নিরাশার আশা আঁধারের ধ্রুবতারা
করল সে ই কী না বিষম হতাশ
বেতসের চিরল পাতার আড়ে
সে তারাটিও লুকিয়ে ছিল;
চর্মচোখে তার ছিল না প্রকাশ।
খুঁজে নিয়েছে যে খদ্দোৎ পুচ্ছ অবশেষে
আলো ছিল তার অতি অগণ্য
আমিও তো তার কাছে নই কিছু গণ্য
তবুও জগৎ চলেছে আপনার লয়ে...
মহিমার কাল যায় না বিফলে নয় সে নগণ্য।
সুখ-দুঃখ আশা-নিরাশার বিবিধ এষণা
থাক না ভাঁড়ারে যতই
নেই কিছু চেতনাটি তার -
রাজসিক জগৎ পল-অনুপলে
অপার মহিমায় চলেছে সে মহর্ষি লয়েই।