বিষাদের নীলে ছাওয়া সামিয়ানা জুড়ে
জানু পেতে বসেছিল কাল-রাত এক, ভোরের খেয়া ধরতে
মহান আকাশ মহিম উচ্চারণে শোনায় আশ্বাসের বাণী তারে
সান্ত্বনার স্নিগ্ধ তাপস হাতে রাতের শিয়রে বসে জাগে -
যামিনীর কষ্ট-ব্যথা খুঁটে গেঁথে আস্তিনে জমায় পরম যতনে।
যেখানে ছুঁয়েছে নীল মাটির ঠিকানা
স্বপ্নভেলা হারায় পাথারে - সবুজের আঙিনা ছেড়ে
সোনালী আশায় আঁকা রূপালী কল্পনা, না বলা কথা-বাণী,
নিঃসিক্ত চন্দনে ছড়ায় অব্যক্ত প্রাণের বাসনাপ্রকার, আর
যামিনীর আলপথে ধীরলয়ে পিছু হটে, ক্রমে; দূরে সরে যায়।
কুয়াশা ধূসর বিবর্ণ আকাশে জাগা ওই কোজাগরি কৌমুদ
অতি মৃয়মান, বড় বেমানান – যেন নিস্প্রভ হেম?
কতদিন কুয়াশা ভোরে ছুঁই না তোমার নিপাট কবরী,
শিশির ছোঁয়া ঠান্ডা নাকের ডগা, কত হিমতাপে
বরফ প্রপাতে, দেখি না তোমার ধোঁয়া-উড়া অধর-কাঁপন!
অনড়-অটল, শান্ত-উদার দাঁড়িয়ে পাহাড় আকাশের গায়,
আছে কিছু কষ্ট তারো, আছে অভিমান।
দীর্ঘঃশ্বাস বুকে অচঞ্চল সে - মহাকালের নীরব সাক্ষ্যমুনি
ভাব-লেশহীন, নেই যাতনার ক্লেশ, নির্মোহ দৃষ্টি; দেখে একেলা।
জগতের কাঁদা-হাসা - বোধে তার হয়ে যায় লীন। তুমি কি উহারই মতো!
____________________
⭐কবিতাটি "বাইনারি সুখের পিদিম" (পৃষ্ঠা-১৬) কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত।