হিয়াপাশে বারেবারে উঁকি দিয়ে যায়
জেগে উঠে হাহাকারে ধূ-ধূ বালুচর!
রজ্জু ধরি বিনি-প্রেমে ভাসব না
জেনে রে’খ; আর কোন অচেনা প্রহর।
সেই ভাল, এই তবে হৃদয়ের ভাবাবেশে
ডুবে-ভেসে কাদা-জলে করি সন্তরণ!
বিরহ-প্রপাতে জাগে আলেয়ার আলো
রুধতে কি পারে কেহ সুখের মরণ?
রিক্ত আবেগ ছুঁয়ে ধায় যে মরুনদী
সিক্ত আশিসে হৃদয় কভু না জুড়ায়,
খিন্ন ব্যথাও কিছু যায় কি গো মোছা;
বিধির অবহেলা যদি জীবন পোড়ায়?
অধরজুড়া নধর হাসি ঝরে যখন পটে;
পীত-চাঁদিমা মোহন-রূপের ফুল ফোটায়,
ধরার ‘পরে তাপস ঢালে দূর নীলিমা
ছড়ায় আলো তামস মনের তল কোণায়।
ফুলের কাঁটা সয় যে তবু কথার জ্বালা নয়,
থাক না হয় আজ; ছি’ল যত মুখর দাবি
নীরব কথার প্রত্ন খুঁজি পাই যদি সুখ,
হারা-স্বপন ন্যায্য চাওয়ার সোনার চাবি।
প্রেমাষ্পদের মধুর বাচন যখন হারায়
মোড়ায় প্রসূন, বৃন্ত-কুসুম হুল-কাঁটায়
চিত্ত ব্যথায় যায় জ্বলে, মন পড়ে রয়
হৃদয়হরা সোহাগরেণু প্রীতির আশায়।
🔯 কবিতাটি আমার সম্পাদিত "জলতরঙ্গে কাব্যভেলা" (পৃষ্ঠা - ০৯) সংকলনে প্রকাশিত।