মেঘবালাটি কান্না থামাও আহা, মান করো না
সূর্যতাপেই গড়িয়ে দেবো তোমার নোয়া-গয়না
মেঘবালাটি গোমড়ামুখী, আরশি হাতে নাও
সূর্য থেকে ছিনিয়ে এনে একটু আলো দাও।
তুমি মেঘবালা, ছড়িয়ে চলো আকাশজুড়া ভেলা
সাগর ঘামের বারি-ফোঁটায় কেমনে কর খেলা?
তোমার চুলের অন্ধকারে চোখ ঢেকে যায় রবির
ধিঙ্গিময়ে রাগলে তুমি পৃথিবী হয় স্থবির।
চুলের ফিতা বিজলী তোমার আগুন ঝরাও বাণে
কার ঘরেতে জ্বালাও আলো নিভাও কিসের টানে?
পাহাড় কি গো প্রেমিক তোমার অভিসারে যাও
মায়ার ছলে কখন ভুলে বৃষ্টিতে ভাসাও!
আকাশ-গঙ্গায় থাকো তুমি প্রেম-যমুনায় খেল
কোন খেয়ালে কুঁড়ে আমার করো এলোমেলো।
ইরাবতী সই কি তোমার সিন্ধু তবে কে
মর্জি হলেই যখন তখন ছুটো কার দিকে?
আকাশ যদি তোমার বাড়ি সেথায় তুমি উড়ো
ইষ্টিবাড়ি ধরায় যেতে কান্না কেন জুড়ো?
তোমার ভেলা আকাশ-গঙ্গায় বাতাস চড়ে ভাসে
শুকোয় কেন মাটির গঙ্গা কোন সে পিত্যেশে?
🔯 কবিতাটি আমার সম্পাদিত "জলতরঙ্গে কাব্যভেলা" (পৃষ্ঠা - ১৫) সংকলনে প্রকাশিত।