ভিন্ন মতের মানুষ যে জন ভিন্ন গ্রহের ছায়া?
বিশেষণের অধোঃগতি যতই হোক অনন্য
চলন-বলন জীবন-যাপন এক হয়েও ভিন্ন
সমাজ সভায় খাপছাড়াতেও অতি সামাজিক
কুট্-ক্যাচালের ধার ধারে না সরলমতি জীব।
বুদ্ধি যে তার অল্প অতি, যায় না বোঝা মতিগতি
সুর জানে না স্বর সরে না, সমাজরীতির বিপরীতে
গায় না গাথা, গায় না কোন গান
অপূর্ণতার রৌদ্র শুষে শূন্যতার এক কলস ভরে
আয়েস করে দিবস-রাতি দুঃখ করে পান।
মনের অতল গহীন কোণে বিবর্ণ সব
সুখগুলো তার বরফ জমা চাঁই -
দুঃখ ছড়ায় লতায় পাতায় নদীর জলে গাছের ছায়ায়
মুকুলিত ভ্রান্ত গাথায়, কুয়াশার এক স্রোতস্বিনী
স্থির হয়ে রয় জল টলমল বিপুল নীলিমায়।
ব্যক্তিত্বের এক কুমড়োফালি অম্ল-মিঠার আম্রপলি
জ্ঞান-বিবেক-প্রাচুর্যতায় ঠাঁসা নিরেট, নিঃস্ব-পাষণ্ড
ভিন্ন মতের তকমা গলায়, ললাট লেখায়ও ভণ্ড
মিথ্যা বলায় কুন্ঠা ভারি সত্য বলায় ল্যাঠা
সততার বলয় ছুঁয়েও পিছন পানে হাঁটা।
তার সফলতার গ্রন্থিগুলো ইতস্তত ছড়ায় বাঁকে
জঞ্জালময় বৃক্ষরাজি বাতাস ধরে রাখে
অপূর্ণতার ভ্রান্তি যখন জীবন জুড়ে হয় আভরণ
কোন অভিধায় ফেলি তাকে যায় না বোঝা কিছু –
কতটুকু মানুষ সে জন কতটুকু নিচু?
- - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - -
★ কবিতাটি 'সময়ের বাওকুড়ানি' (পৃষ্ঠা-৩২) কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত।