বিন্যস্ত উচ্চারণে মুখ নিঃসৃত
শব্দ – অর্থময় বাচন;
যার ওজন গুরুত্ব দুইই আছে
বোধগম্য স্বীকৃতিও আছে
তবু কেউ মানে না
কেউ কথা রাখে না।
এ যেন ‘কামারের লোহা পেটা’
রাস্তা কাঁপানো ধাবমান লরি
অথবা জল-পড়া, পাতা-নড়া।
শব্দ-গুচ্ছ তুলে ধরা কেবলই
নীরবতা ভাঙতে,
‘কথা রাখা’ সবাই বোঝে
তবে কেউ তা রাখে না!
তাই তো কথা রাখে না –
শিক্ষক, ছাত্র, সরকার, জনতা,
প্রেমিক-প্রেমিকা, নেতা, মালিক-কর্মচারী,
ঠিকাদার, দেনাদার, ভাড়াটে,
ভাড়াটিয়া, স্বামী আর সন্তান।
ব্যতিক্রম – শুধুই পাওনাদার;
সে বড়ই ঈমানদার!
কথা না রাখলেও সবাই কিন্তু
চেষ্টা করে একশ দশ ভাগ
যথারীতি ভুলে যায়; ব্যর্থ হয় নব্বইটি
বাকি দশভাগ অহংকারীর পা’
তখন আকাশ মাড়ায় – মাটি ছোঁয় না।
আমিও তাই গর্বিত গরিষ্ঠদের একজন
কথা রাখতে অসম্মান বোধ করি।
- - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - -
* কবিতাটি ‘স্বপ্ন কাজল’(পৃষ্ঠা-৫০) ২০০৯, কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত।
* সামান্য পরিমার্জিত।