শান্তির অঝর ধারা ছড়িয়ে আছে
সর্বত্র আমার আলোকিত সীমানায়;
মায়ের আশিস জড়ানো আঁচল মায়ায়
ভাই ও বোনের নির্মোহ স্নেহ-আদর
আর পিতার অনাবিল ছায়ার মত সব
সুখ-সুষমার ভিড়ে হারাইনি কখনো।
অন্ধ তো সেজেছি বহুকাল আগেই তাই,
বিস্তৃত প্রাঙ্গণে শান্তি-মেলার নিরুদ্দেশ যাত্রা
বিভেদের চর্মচোখে নেই সুকুমার রব -
ভালবাসার আকর দেয় না ধরা মনে
অবিশ্বাসী আত্মা যেন দৃষ্টির অলখেই রয়
চায় না বুঝতে শুভ আশীর্বাদও কিছু।
শান্তির কোন কায়া নেই, নেই অবয়ব
তাই তো ছায়াময় শান্তিরাও –
কান্তি ধরে মূর্ত হয়ে উঠে না কখনো
সুখ বিলাসী অঙ্কের নিয়ম প্রণালী মেনে।
সামন্ত সকাল জুড়ে বিরল জিজ্ঞাসা তাই;
নীলিমার দিগন্তে ওই আকাশ কেন মেঘ ঝরায় কেঁদে?
ব্যথাতুরে মন, কী জানি এক বোবা-কান্নায়
মোমের শিখার মতই জ্বলে জ্বলে যায় –
সুখ-স্বপ্নের সায়রে নিরন্তর সাঁতার কাটা;
এ জীবনের সাধ কখনো পূরণ হয়
কখনো হলাহল পানে আবার আকণ্ঠ বোধন।
এই কি তবে চিরন্তনী জীবন ধর্মের আচার!
নির্মিলিত চোখের ত্রাস লুকাতে মুখ ঢেকে
চেতনা ছড়িয়ে পড়ে বিষণ্নতার ছিন্নপত্রে,
লাজুক হাসনুহানা ডাল থেকে যায় ঝরে
স্মৃতির ঝালরে ঢাকা মনের কথামালা
তাই কবিতা সাজায় অর্ধ-চেতনার নিঃষিক্ত পাতে
আর কালান্তকের চাদরে ঘুমায় নিরীহ পুরুষ।
- - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - -
★ কবিতাটি 'সময়ের বাওকুড়ানি' (পৃষ্ঠা-৭০) কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত।