শব্দ বিন্যাসে যদি জড়িয়ে যাও পটে
উঠে এসো তবে কলম চাহনি মেলে
মাতোয়ারা বিধিলিপি অপলকে লিখো।
স্বস্তির পাঁজর ভেঙ্গে আঁকো নাম: তোমার-আমার।
রাঙাও মায়াবী সকাল তন্দ্রালু স্মৃতির আখরে,
চাঁদ চৌকি জ্যোত্স্নার অম্বরখানা আঁচলে গুঁজে
ছড়িয়ে পড়ুক শরতের কাশফুলে ঢেউ
তোমার অচেনা নীলাম্বর ঘিরেই!
তাকাই বারেক এবার স্মৃতির নিশানা ধরে
বীথিকার ছায়াপটে দেখি ঝুলন্ত ছবি দোলে
শরতের খুচরো আকাশ, শ্বেতমঞ্জরী হয়ে ফুটে –
মেঘমালা ঝরে মোর আঙিনার পরে।
মানস জুড়ে ছড়িয়ে তায় আবিরে ছাওয়া
রজত জ্যোতির অযুত মালা; থরে বিথরে!
রুপোলী মেঘ সাজাই শিথানে, গভীর যতনে
প্রিয়সুখ অলখে লুকায় মুখ আনত লাজে।
কাশফুল সুজনিতে বিছানো আভায় ভাসে
প্রণয়ের সুর - তোমার আঙ্গিনা যায় যে ভরে।
বিধিবদ্ধ সফেদ-ফেনিল জ্যোৎস্নার ফোটা ফুল
মানাবে কি ভাল তোমার ওই কাজল কুন্তলে?
- - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - -
★ কবিতাটি 'সময়ের বাওকুড়ানি' (পৃষ্ঠা-৭৪) কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত।