হাসি-খুশি অফুরান জীবনের পালাগান
দুঃখ, বেদনা, জরা - তবু কত মোহ টান!
যতই দোষাই তারে সহজে না যায় ছাড়ি
ক্ষণে-বিক্ষণে আবার দিয়ে থাকে আড়ি।
মাঝেমাঝে যেন কি সে গুম হয়ে যায়
কখনো বা হল্লা ভরে উল্লাসে মাতায়।
যে নিয়তি দোসর তার অদেখা হরিহর
তারও টিকি মিলে না দেখি খুঁজে চরাচর!
যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা! সে তো জীবনেরই কলা
কখন যে করবে জয়ী যায় না তো বলা।
নিদাঘে পোড়ায় যখন মনে হয়; এই শেষ
আবার, সুখের আসরে নেই দুঃখের লেশ।
ঊষর মরু ধু-ধু প্রাণ খর নদীর ভরা গান
বিচিত্র ছন্দে পায়েল যেন বাজে দিনমান।
যদি সে আমার মায়া, আমি যে তারই কায়া
দিন গতে একদিন মিলাবেই সেই ছায়া।
বিধির কী বিধান এই - অমোঘ বাস্তবতা
ছায়ারও এতটুকু নেই কোনই বিশ্বস্ততা!
কিসের টানে তবে বেঁচে থাকে সে ছায়া
জীবনের প্রতি কেন জাগে এত মোহমায়া?
তৃষ্ণা ক্ষুধা কতই আছে, দুখ আর দ্বেষ -
তবুও কী মোহের টানে সয়ে যাওয়া ক্লেশ!
বানরের পিঠা ভাগে না হয় খর্চা-খরচ
কোন ঘাতেই যেন সে হয় না তছনছ।
জীবনের পালাগানে ডুব দিয়ে দেখি
ততটা তো নয় - যত ভেবেছিলাম মেকি!