একটা স্বপ্নাধার ছিল -
সেই চৌভাগা বন্যার সময় হারিয়েছে
আর খুঁজে পাইনি।
কত খুঁজেছি; পদ্মার চরে, জোনাকির মাঠে, চেরাপুঞ্জীর চূড়ায়
পিরামিডে স্ফিংসের সমাধিতে, অজন্তার গুহায় - কোথায় নয়!
নীলনদে তো কতবার ডুবুরীই নেমেছে
তারাও ফিরে আসেনি, ফতেহ আলীর স্বপ্নাধারও মিলেনি।
কোথাও আর পেলাম না সেই স্বপ্নের আধারটিকে।
অথচ, এখনো স্বপ্ন দেখতে সাধ জাগে, দেখি ও
তবে ধরতে পারি না, রাখব কোথায়?
দশটি টাকা; তা ই ছিনিয়ে নেয় -
এরা, ওরা, ভিখেরিরা... আর স্বপ্ন বলে কথা!
সে তো আলাদীনের চেরাগ!
সবাই জেনে গেছে; ঘষা দিলেই স্বপ্ন মাত।
হ্যাঁ, স্বপ্ন একটা দেখতে পারি বটে:
নগদা-নগদি খরচ! তাই আধারেরও নেই প্রয়োজন
কী চাই?
রাজার প্রাসাদ, রাজত্ব - রাজকন্যা,
রাজভোগ, রাজণ্যের কুর্নিশ? যথেচ্ছ চলার ছাড়পত্র?
হনলুলুতে হানিমুন? সে তো খিড়কি দ্বারের ঘাটা
চাই তো চাঁদ কিংবা মঙ্গল গ্রহেও...
নাহ্, ওসব এখন আর স্বপ্ন নয়,
হস্ত-করের ময়লা বিশেষ -
সুস্বাস্থ্যের জন্যে ধুয়ে ফেলা যায়।
মরণ দূতের চওড়া কাঁধে সাগর পাড়ি!
কারা এলো শয্যায় -
স্বজন, বন্ধু, শকুন না কি দশটাকা লুফে নেয়া ভিখেরি?
স্বপ্ন দেখি পাথরে খোদাই করা কবরের এপিটাফ
তাতে লেখা; ফতেহ আলী জন্মেছিল,
জন্মনাম সার্থক করে দিয়ে আজ ফতেহ হয়ে গেল।
সে কী এক মহা সৌভাগ্য আমার!