সাগর পাড়ের নন্দিনী গো, ছুঁয়েছে কি প্রাণে
ফাগুনের অগ্নিপরশ? উঠে এসো তবে এইক্ষণে -
সেতার শ্রবণে ক্লান্তি কেন? শান্তির অন্বেষণে –
হেসে চলো; বলো কথা ত্রিতারের মূর্ছনাতেই!

আকাশ গঙ্গায় শালুক পুড়ে হৃদয়ে ধরি
নোনতা জমিনের সোদা-গন্ধ মাখি
সুরভি ছড়াও কেতকী-কেশরে অহর্নিশ
জোনাকের অগ্নিপাখায় ঝলসে দাও মোরে।

ভালোবাসার গন্ধমদিরা ভাসাও অশোকে-শিমুলে
জ্বালাও আলোকরাশি হেন খদ্যোতিকা সম
বিমোহিত সুধা ছড়াও পরাগে পরাগে আর;
আস্তিনে খুঁজে ফিরি সোহাগের নীল চিহ্ন তোমার!

পেলব কামনার অতন্দ্র প্রহরে কবে
গেয়েছিল নদী শিমুল ও পলাশ পদমূলে?
বীথিকা বনানীর ছায়াময় ঐশ্বর্যে দেখো
লুটায় ফাগুন কৃষ্ণচূড়ার তটিনী ঘিরে।

সোমত্ত সময়ের নদীজলে তির-তিরে হাওয়া
যদি প্রণয়ের স্বরলিপি রচে সোহাগের আঙিনায়,
আামদের চাওয়া পাওয়ায়, তবে উঠে এসো -
ভালোবাসার সান্ধ্য-সংলাপে মিশি একাকার হয়ে!
_______________________
কবিতাটি 'সময়ের বাওকুড়ানি' (পৃষ্ঠা-৬৩) কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত।