ফাগুনের বিমল প্রাতে
রঙের ওই ফুল-সভাতে
ফুটলো কুঁড়ি মন রাঙাতে কার?
আগুনের ফুলকি বানে
মনের ওই নিবিড় কোণে
কী সুখের আবেশ ঝরে তার!
মহুয়ার মাতাল হাওয়ায়
মায়া মেদুর গন্ধ ছড়ায়
কী জানি কি উলকি এঁকে যায়
সুর বেহাগের ছন্দ তুলে
কী মধুর গান শোনালে
ভ্রমরের গুঞ্জরণে নূপুর পরা পায়।
নয়ন বানে আঘাত হেনে
হিয়ার বোঁটা ছিঁড়লে টেনে
এলায় পড়ে কবরীটা কার?
আঁচলের কোমল পরশ
প্রাণ-মন হয় যে সরস
পাখি চায় গান শোনাতে তার।
কী সুর গাইছে প্রাতে
রাধিকার মন রাঙাতে
পূরবী তার হিঙ্গুলে মোড়ায়
আগুন ঝরা ফাগুন দুপুর
ঝিঁঝি তোলে ভৈরবী সুর
ছায়া-বীথি শূন্য হয়ে যায়।
হরিৎ পাতায় ছন্দ গেঁথে
বিসর্জনের গান শোনাতে
ফাগুন আসে এলোমেলো পা’য়
গন্ধে মাতাল ছন্দে ভরা
ফুলের মধু খায় ভ্রমরা
মধুর আশায় উড়ে সে বেড়ায়।
____________________
⭐কবিতাটি "বাইনারি সুখের পিদিম" (পৃষ্ঠা-১৭) কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত।