একমুঠো ছাই নয় কি'বা এক দলা থুতু,
এক খামচি ভালোবাসা ছিটিয়ে দিয়ো
জীর্ণ দেয়ালের ওপারে -
কৃষ্ণগহ্বরের নিকষ আঁধারে লুকানো
শতছিন্ন লাজুক সূর্যটা দেখো
উঠবেই হেসে হোলির আবেশে।
একটি মাটির ঢেলা দাও না ছুঁড়ে
শোক-পাখিটির বক্ষ লক্ষ্য করেই -
ব্যাধের কারুময়তায় নির্ঘাত সে পড়বেই ঢলে
দুঃখ-জরার অসীম পাথারে।
অপরূপ সৃজন-বিতানে সজ্জিত সরসী
মুকুরে ভাসিয়ে বিভা বলবেই কথা কানে কানে।
একগুচ্ছ সরেস পঙ্ক্তি গুঁজে দাও হে কবি
চিরতৃষিত আমার ক্ষুধার্ত মননে
ক্ষয়িত ক্ষরণের ঘন-নীল স্রোতধারায় ধমনীরা হোক
উর্বরা, ফলদায়ী; সুপ্রজনিকা
ক্লান্ত পথের প্রান্ত ছুঁয়ে জেগে উঠুক আবার
তিমির বিদারী নব প্রভাতের অরুণিকা, নয় সে তো প্রহেলিকা।