আলস্যের শীতলতা স্পর্শ করতে পারেনি আমায়
শূন্যতার অতলতা, নিষেধের ভ্রুকুটি, কোরালের হেমপ্রভা
ডুবাতে পারেনি উপবিন্দু কিছু হিমাঙ্কের মৃত গহ্বরে,
ছুঁয়েছে প্রাণ কৃষ্ণসাগরের অতল অন্ধকার, জলজ শৈবাল।

শব্দের করাঘাতে বন্দি সময়ের তন্তুরাশি,
হেথা হোথা ভ্র’মে, আনমনে উড়ে
শ্বেত-কপোতের পাখায় ভাসা বিদেহী কিরণ;
সে কি ঝঞ্ঝা, হৃদ-কম্পন, তিরতিরে সুখ-সিম্ফনী!

মননে বেঁধেছি ধৈর্যের শিরা, যাপনে জুড়েছি রাত
অন্ধকার আমায় আকন্ঠ মন্থনে দিয়েছে নিতে
নি:সিক্ত নিরাশার ঘ্রাণ, তন্দ্রাপুরে ত্রাস - একা জেগে রই
পাড়ি দেই বিস্তৃত ঊর্মিদল, সিঞ্চিত পারদ কণা।

আবেশিত করে আমায় রোমাঞ্চিত করে, মন্থনে বারবার
ক্লান্তপ্রাণ পান্থ আমি পিঠে বাঁধি সান্ত্বনার জাদুর প্রদীপ
জানি, ওই পথেই দিতে হবে পাড়ি -
ভ্রমাবেশে তাই, জাগাবো না স্বস্তিরও পাঁজর।

মেরুদণ্ড ঘিরে বাস - সময়ের পাতকী চোখ,
ধ্রুবতারা, ঈশানী মেঘ, ভাল লাগার পদরেখা
সফেদ ভাবনার পরাগায়ণ;
সবই সাক্ষী হয়ে থাক তারই অনন্ত ইশারায়।
____________________
⭐কবিতাটি "বাইনারি সুখের পিদিম" (পৃষ্ঠা-১০) কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত।