দেখছি কখনো চুকে-বুকে যায় ঐ চির-চেনা নদী
সুধার বারিতে কদাচিৎ ভাসে একটি শ্রাবণ হৃদি।
সুখ-ব্যথা আশা-নিরাশা, জীবনের কত শত গান
ফুলের সুবাস হারায় না, থাকে সে অমলিন-অম্লান।
প্রেমসুধা- হারায় কভু স্বার্থের টানে কি’বা তুচ্ছ দোষে
তুষের অনল নিভে না কখনো নিভৃতে জ্বলে সে ঘষে।

মায়া-ডোরে বেঁধে যারে একদা তুলেছিলে জীবন নীড়ে
কী বিষে সে হৃদি; পাষানে ঘিরেছে এমন কঠিন করে!
স্নেহসুধা ঘনপ্রেম জীবনজুড়ে, এই ভালে না জুটবে যদি
জলো-প্রীতি ভেসে গেলে পড়ে থাকে শুধু শ্যাওলার নদী।
মায়ামৃগ ধরা দিলে- যতন করে ভরেছিলে জীবন খাঁচায়
বেভুলে কখন হায়; দোর খোলা ছি’ল মত্ত সুখের নেশায়।

একাকী ছিলেই সদা একক অভিনেতা নাট্যশালার
একাই চলবে আজো অবসান করে সকল জ্বালার।
এ জীবনে ঘুচবে না হায় বুকফাঁটা ব্যথা হাহাকার
দগ্ধ-দহনে একা জ্ব’ল একা ভা’স, হও পুড়ে অঙ্গার।
শিথিল যখন মনের আগল হুল ফুটানোর নেই জ্বালা
আঁখি-মোদে খোঁজ বিস্মৃত সুখ পেয়েছো যা ঐ বেলা।

------------------------------------------

* কবি বন্ধুরা, সিরিজের পাঁচটি পর্ব মিলে একটি কবিতা। সাইটে পড়ার সুবিধার্থে পর্বাকারে প্রকাশ করেছি মাত্র। এই পোস্টের মাধ্যমেই এই সিরিজটি শেষ হ'ল। এখানে অনেক অপ্রিয় কথা এসেছে যা - বিচ্ছিন্নভাবে পড়লে নানান প্রশ্নের উদ্রেক হতে পার। তাই অনুরোধ; সম্ভব হলে সব ক'টি পর্ব ধারাবাহিকভাবে পড়লে আশা করি  সে সব বিতর্কিত বিষয়গুলোর অনিবার্যতাও স্বীকৃতি পাবে। শুরু থেকে যে সকল বন্ধু পড়ে ও মন্তব্য দিয়ে আমায় উৎসাহ যুগিয়েছেন - সবার কাছেই আমি কৃতজ্ঞ, সকলকে ধন্যবাদ জানাই।
____________________
⭐ কবিতাটি "বাইনারি সুখের পিদিম" (পৃষ্ঠা-৫৬) কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত।