মায়ামৃগ বরফ হলে আমি নদী হ’ব
তার চোখের জল নিয়ে সাগরে মিলাব
আষাঢ়ের মেঘ ডাকে গুড়ু-গুড়ু-গুড়ুম
এক হাঁটু জল ধরি চোখের পাতায়
এ কেমন হা-পিত্তেস গো মেঘলা বাতাস?

চোখ দু’টি জেগে থাকে কার প্রতীক্ষায়
বৃষ্টির পাপড়ি ঝুলে ঘন মেঘের ছায়ায়
বেদনার বেদিতে প্রোথিত যে ভিত্তি
অবুঝ ভালবাসার হিয়ামূলে গাঁথা নিরালায়
স্মৃতির অলখে কোন বাস্প ছড়ায়?

চৌফলা জোনাকীর আলোয় ভরসা অনেক,
তাই তো দীপ্তির অর্ধেক ঢেলেছি হৃদয়ে তোমার
লাভ-ক্ষতির হিসাব করি নি অঙ্ক কষে।
দু’টি নুড়ি একটি চোখ; অপলক দৃষ্টি -
শূন্য মন্দির, অলিন্দ ঘিরে এ কোন বজ্র নিনাদ!

রাতের তামাশা দেখি সময়ের জাগরণে –
আলো-আঁধারীর সখীরা ধুয়ো তোলে,
খর্জুর বাগান থেকে ছিনিয়ে আনে মৌতাত
অচিন্তকুমারী নাচে গায় কিশোরী ঘাগরা তুলে
নিথর বাতাসের গায় এ কোন শয্যা দোলে!

পূর্ণ চাঁদের প্রহর এলে হৃদয়ের কোণে ফুটে
অমল ধবল হাসনোহানার শেফালিকা হাসি
অতিথি পাখিরা নাচে গায়, করে কেলি
তখন আমি বরফ নদী হয়ে সাগরে মিলাই -
শূন্য হৃদয় হাতে করে সমুদ্র সকাশে যাত্রী!
____________________
⭐ কবিতাটি "বাইনারি সুখের পিদিম" (পৃষ্ঠা-২৯) কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত।