বড় সাধ জাগে মনে;
মাঝে মাঝে নদী হই
আঁছড়ে পড়ি তোমার চড়ায়
বাতায়ন খুলে ঢেউ আনি ঘরে
ধুয়ে যাক আমার সকাল দুপুর!
আকাশের পেয়ালা জুড়ে
নৈঃশব্দ্যের চিড়া-মুড়ি, মরচে রোদ,
ঝিকিমিকি শব্দের আলপনা -
সব তোমার আঁচল খসা তারার মতই
ঝলমলে কথামালার দীপ্তি ছড়াক!
আর আমি সময়ের চিরন্তনী সুর
বিধিলিপির পাত্র ভরে
পান করি - কানায় কানায়!
আকাশে সূবেহ্-সাদেকের চাঁদ মুখ বাড়ালে
তখন স্বস্তির দোয়েল-শ্যামা শিস্ কাটে,
মুখরিত কথামালা গুম হয়ে যায়,
তখনো না হয় তুমি
মৌনতার চাদরেই মুখ ঢেকে রেখো!
- - - - - - - - - - - - - - - - - - -
★ কবিতাটি 'সময়ের বাওকুড়ানি' (পৃষ্ঠা-১৮) কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত।