কে বলে আড়ষ্ট? দেবশিশু তুমি বশিষ্ঠ মুনি!
কোন বিধির খেয়ালে মগ্ন তোমার হিয়া
নিজেতেই মত্ত তাই আপন ধেয়ানে ধ্যানী!
বিশিষ্ট বলেই তুমি অনন্য সৃষ্টি বিধাতার
নেই চাহিদা প্রচুর যেমনটি আছে সবার,
অগণ্য তাই; যা ছিল তোমার ক্ষমতা অপার।
দেখে না কেউ তোমার শোক তাপ ক্ষুধা
কী ব্যথার আগুন হৃদয় পরতে নিভৃতে জ্বলে
স্পৃশ্য তবু মনুষ্যবোধে অস্পৃশ্যতার কী স্পর্ধা?
সৌভাগ্যের বরপুত্র অথবা পুষ্ট জীবন যাদের
ক্ষুধা তৃষ্ণা সুখ-দুঃখ তোমার, কী নেই অনুভবে?
জীবন-প্রচ্ছদে একই তো রূপ: জনম ও মরণের।
কেন তবে অস্পৃশ্য রবে হেলার পাত্র হয়ে
তোমারো আছে সমঅধিকার; বরেণ্য হবার
স্বীকৃতি পাবার, সৃষ্টির সেরা মনুষ্য পরিচয়ে।
কোন দেবতার রোষে মুকুলেই কুঁকড়ে যায়
নিষ্পাপ, স্ফুটনোন্মুখ কীটদষ্ট ফুলের কুঁড়ি?
ধিক্ তাদের দেয় না যারা মনুষ্য সম্মান তোমায়।
প্রাণের শিখায় জ্বলো, তোমারো আছে হাসি-কান্না
যেমন সচল জনতার প্রবাহ - দখিনে ডানে
হিংস্রতার দস্যু সমাজে শুভ্র ছবি: মুক্তো ও পান্না!
এডমিন কর্তৃক বিশেষ অভিধার সংযোজন-
✴️'সহমর্মিতার সংবেদন'' কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত।