যাপনের অধ্যূসিত আলোয় সৃজিত ইতিহাস-গাথা
তার কিছু রেণু উড়ে ধূসর স্মৃতির পালকে ভেসে
সময় সন্তরণে প্রাণহীন কথামালা জাগে অহর্নিশি
কিছু সুখ কিছু আশা তখনো আলোর ঝালরে হাসে।
বাইনারি সুখের পিদিম জ্বেলো না, দাওয়ার মাদুরে
হিসেব কষো না, মিলেছে যা আঁচলের স্নেহ-গেরোয় -
সকলই যদি যায় থেমে ওই বেলোয়ারি-ঝাড় ধ্বসে
নিষিদ্ধ চরায় ফাঁসে বাঁকা-চাঁদখানি আশার চূড়ায়!
সীমিত সুখের ভেলায় কতকাল বল আর জেগে থাকা
বনেদি প্রাসাদের ইটের ফাঁটলে বেড়ে উঠা শ্যাওলাদলে!
তারো বেশি ছিল ভাল – ঝেরে বৈভব সুখ অলসতা,
ঘাস হয়ে যদি সাজাতাম শাদ্বলভূমি আগাছার দঙ্গলে।
সুবজ গালিচা হতাম মা বসুধার আঁচল জড়িয়ে গায়
নীরব মৃত্যুও সার্থক হত গবাদিকুলের অলস জাবরে
স্নেহ-স্পর্শে খানিক উষ্ণ হতাম মৃত্তিকা মায়ের কোলে
আগাছা ফুঁড়ে যেমন মহীরুহ বাড়ে নীলমার চোখ এড়ে!
প্রবালের নিশ্চিত কোলাঁচল ভেবো না করালী আকর
ধরণী ও মায়ের আপত্য-বিলাস যেমন জাগে সন্তানে
স্নিগ্ধ শিশিরের হাতছানিতে সূর্য-আলিঙ্গনে যায় বেড়ে
নিদাঘ সময়ের তৃষিত ছায়ায় কুড়াই আবেশ আস্তিনে।
🔯 কবিতাটি "বাইনারি সুখের পিদিম" (পৃষ্ঠা - ২৩) কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত।