দেখি;
ওই এক চিমটি আকাশে বেরঙা স্বপ্নেরা হাঁটে
কামনা ও প্রশান্তির তারকারাজি মিটিমিটি জ্বলে।
এসো স্বপ্ন বধে যাই – গাছের ছায়ায় নদীর পাড়ে
কিংবা পাহাড় গুহায়
এক হাতে অব্যর্থ বেদের ধনুক আর হাতে পায়রা।
শুদ্ধ উচ্চারণে বলি পিছু ফিরে চাও,
ওরা হাসে আর চকিতে ধাবিত হয় চাঁদের বুকে।
‘উহারা’
ক্রমশঃ খাটো হতে হতে দীঘলে বাড়ে
ব্যাপ্তির এ দুহাত পারে না বাঁধতে তাদেরে।
দেখি তাদের চোখের তারায়;
চঞ্চু ভরে নিঝুম স্বপ্নেরা কেমন উড়ে উড়ে যায়!
স্বপ্নের পিছল ছায়া পড়ে প্রশান্ত কায়ায়,
চিমটিও পারে না; ধর রাখতে শেষ স্বপ্নের মায়াটুকু।
যদিও
শূন্য পেয়ালা মদিরায় ঢাকে নিষেধের বান ঠেলে
চাওয়া পাওয়ার শান্তি-সেপাই আটপৌরে সেলাম ঠুকে
স্মিতমুখে বলে আর কিছু নেই তো!
স্বপ্ন বাখারি ভেঙে দিয়েছে এবার ছুট, ফিরে কি আসবে আবার?
শান্তির বেলাভূমে চেয়ে রবো স্থির নিষেধের ছায়া ঢেকে...
তবু বিরল স্বপ্নরা আমার আবার চাই-ই চাই।
- - - - - - - - - - - - - - - - - - - - -
★ 'সময়ের বাওকুড়ানি' (পৃষ্ঠা-২৬) কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত।