আসরে ইতোপূর্বে অনেকেই যুগলবন্দি কবিতা উপহার দিয়েছেন। এবার আমি ও কবি কামরুন নাহার রুনু'র নতুন প্রয়াস (আমার –“আঁধার আকাশ” কবিতায় মন্তব্য প্রতি-মন্তব্যসূত্রে গ্রন্থিত):
কামরুন নাহার রুনু:
আবার যদি আসি ফিরে বসন্তের আঁচল জুড়ে
তমসায় ঢাকা তোমার চোখের নীল শূন্যতায়
মাতাল বাতাস হয়ে ছুঁয়ে যা’ব অনাদিকাল।
প্রকৃতির শরীরে কোথাও ছিল না
মৌ মৌ গন্ধ তেমন
তবুও আজ ছিল বসন্ত আমার!
শব্দের গাঢ় আলিঙ্গনে ছুঁয়েছিল সমস্ত পলাশের বন
তাই, আমার ভেতরে লাল রঙের পাপড়ি ঝরেছিল কিছু
বাইরে যায় নি বয়ে কোন ঝড়,
তবু ছুঁয়েছিল সে আমার বালুচরি শাড়ির আঁচল।
মুহুর্মুহু বাতাসের দোলায় দখিন বারান্দা বেয়ে;
ঘরের চৌকাঠ ঘিরে সুখের পংতি দিয়েছে দোলা
তাই আজ বসন্ত আমার।
- - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - -
অনিরুদ্ধ বুলবুল:
নিঃসীম শূন্যতার পানে কে গো ফিরে চায়
ব্যথার আঙিনা ছুঁয়ে কে ডাকে আমায়
মাতাল বাতাস ডাকে; কে যায়! কে যায়...
অবারিত ছিল আজ বসন্ত দুয়ার
চারদিক মুখরিত রঙের বাহার
মাধুরীর গুঞ্জন তুলে শত অলি গায়
জন্মান্ধ বাসন্তি প্রেম তবুও শুধায় -
দখিন অলিন্দপথে কে যায়! কে যায়!!
ঝরাপতার শব্দ ছুঁয়ে কে এসেছে দে’খ –
রঙের মেলায় ফোটে কত ফুলের বাহার
প্রজাপতি জেগে উঠে, বলে; এ’স বন্ধু আমার।
মাধুরীর নেই কাল, নেই কোন সুর
যখনি ফুটবে ফুল গাইবে সমিরণ
দখিন দুয়ারে দে’খ; দাঁড়িয়ে আমি,
রয়েছি তোমারই প্রতীক্ষায়
বলি – এ’স বন্ধু আমার।
- - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - -
** যুগলবন্দি সম্পর্কে দুটি কথা:
কথায় আছে - কবিরা যে পথ দিয়ে হেঁটে যান সেখানেই তাদের কাব্যিক পায়ের ছাপ রেখে যান। আমার একটা সাধারণ কবিতাকে কেন্দ্র করে মন্তব্য-প্রতিমন্তব্যের সূত্রে গুণী কবি কামরুন নাহার রুনু'র অনুপ্রেষণে আর একজোড়া কবিতার জন্ম হওয়ায় আমি একটু লোভী হয়ে উঠি। তাই কৃতি কবির অনুমতিক্রমে এ পাতায় পোস্ট দিই। এর সকল কৃতিত্ব কবি রুনু'র।
🔯 শুধু আমার লেখা অংশটি "বাসন্তি প্রেম" নামে "জলতরঙ্গে কাব্যভেলা" (পৃষ্ঠা - ০৮) সংকলনে প্রকাশিত হয়েছে।