নিস্তরঙ্গ নীলাচলে খুঁজে ফিরি আশায় ভেজা বাণী
সহসাই জানলা গলে ঢুকে পড়ে যাপনের আকাশ
খোঁজ করে - চাল ডাল নুন তেল বিনুনির কাঁটা
দস্যি-রূপ ত্রাসে; পায়ে পায়ে জড়ায় গলে ভ্রুকুটির মালা।
অবিনাশী নদীজল ঝর্নাকে ডেকে নেয় কোলে;
মাদলে বাদল ঝরে, কাননে ভ্রমর - প্রেম গুঞ্জরণে...
আলোর ভাবনা হারায় আঁধার মেঘের আড়ে।
আঁখিকোণে লালিত স্বপ্নবীজ ছিলো যেথা পোতা
নকশি গাঁথায় বোনা মাঠ - বিপুল প্রান্তর, সুখের চাবি;
স্মৃতিপাড়ে মেঘের কোলেই দাঁড়িয়েছিলো বামুনডাঙা গাঁ।
নদীর বানে নাম ভাসালো, ডাঙা গেলো ভেসে
বামুন তবু প্রাণ বাঁচালো জীবন নদী সাঁতরে উঠে
সোনাভানের নাকছবিটা পেলো না আর খুঁজে
গাঁয়ের মানুষ আজো তাই; স্বপ্ন কুড়ায় - ডাঙায় ভেসে ভেসে।
হাজার তারার জ্যোৎস্না-লোকে স্বপ্নে আঁকা ছবি
বামুনডাঙার সাথে ভেসেই হলো পাথারে বিলীন।
____________________
⭐ কবিতাটি "অরুণোদয়" (পৃষ্ঠা-৩৩) কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত।
⭐ কবিতাটি "বাইনারি সুখের পিদিম" (পৃষ্ঠা-১২) কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত।