দুঃখের তাপে যে অঙ্গার হতে চায়
আর তার পোড়া ছাই - যত যা-ই তুচ্ছ তা-ই
সে তো ভালো বাসবেই
পরম অনুরাগে নিঃশেষ ভস্মকেও
কণক রেণু ভেবে গায়-মুখে মাখবেই।
মুকুটের মণি - সে যে কৃত সম্মান খনি
আশিস হয়ে যদি চড়ে কা'রো শির 'পরে
সেই সে মানুষ বিরল মহীয়ান!
মানুষ হয়েও সে যে রাজা, ধৃত সম্মান রেখে তাজা
গণ-হৃদয়ের মহান কোণে পায় সে অধিষ্ঠান।
অনন্তের বিবরে লুকনো যেসব
চাওয়া-পাওয়ার আনন্দ আর অভিলাষ
খুঁজে নিতে তায় সুখের তটিনী বাড়ায় দু'হাত
ধরিত্রী-চাঁদের বিমূর্ত দ্যোতনা প্রতিভাসে হাসে
জেগে থাকে কিছু কিছু অনাদায়ী রাত।
অদেখা ললিত রথে যেসব সুর-অসুরের বিধি
রাগ-বিরাগের ধোঁয়াশা কেটে
শব্দজটের নীরব কলি মনোবীণায় তুলতে হবে
দ্বৈত বোধের চৈতী বোল রাঙা ঠোঁটের কলরোল
মনের ভাষায় ছন্দ এঁকেই ফোটাতে হবে।
সূর্য আলো ছড়ায় যেমনটি জুড়ে চারিধার,
তিমির মুছে প্লাবন বানে জাগায় রাঙা প্রভাত
ধরার বুকে দেখায় জ্যোতির প্রতাপ
আঁধারের স্রোতধারা তেমনি মনের কোণে
রেখে যায় কিছু তার সাদাকালো ছাপ!
আলো যদি আঁকে রবি আপন বিভায়
পূরবীর রাঙা পথের অরূপ প্রাতে
জ্যোতির্ময় ধরা হাসে আগে পিছে সুমুখে
কী সাধ্য তিমিরের - প্রতীপ তাপস বর
বালার্ক আভাকে সে আঁধার দেয় রুখে?