নিখুঁত সৃষ্টির নান্দনিকতায় –
পরিতৃপ্তির হাসিটি হাসলেন ঈশ্বর!
তৃপ্তি সুখের সে হাসি মন্দাকিনী বুকে
জাগালো আনন্দোচ্ছ্বাসের সুখ প্লাবন
সুপ্ত অসুরের গুপ্ত চেতনায় তোলে কম্পন
জেগে উঠে তখনি সে জাগতিক নিঃশ্বাসে।

অলকানন্দার তীরে আনন্দের মোহন-মুরলী
প্রথম যেদিন তুলেছিল সুর –
রচিত হয়েছিল জীবনের প্রথম সোপান
আনন্দে হরষে, স্বর্গ সুখের পরশে মৃদু শিহরণে
চিত্ত সেদিন উঠেছিল নেচে
জীবন পেয়েছিল অমৃতের সুধা সন্ধান।

চিরদ্রোহী অভিশাপের আকর –
অসুর চিত্তে সে সুরসুধা
জ্বালিয়ে যায় ভিসুভিয়াসের দাবানল দাহ
সেই থেকে শুরু; প্রলয় নাচন জীবনের ভ্রূণে।
আর ভ্রূণ-শরীর ক্রমে হয়ে উঠে
আসুরিক প্রবৃত্তির চির অভিশপ্ত এক অন্ধ কারাগার।
____________________
⭐ কবিতাটি "অবনীর শেষ শব্দ" (পৃষ্ঠা-১৮) কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত।