শীর্ণ গোলা জীর্ণ মাঠ ব্যথায় উঁচু-নিচু
জ্যোৎস্না ধোয়া পলল হৃদয় উপচে পড়ে সুখে
ঘাসফড়িংও লাফিয়ে উঠে এই সুযোগটা বোঝে
ফিঙে টিয়া হাড়গিলা গায় বায়না ফেরত নিতে
লাল গ্রহেতে মেঘ জমেছে
তায় বসছে - নীল আলেয়ার মেলা
মৌরেলা মীন ঝাঁকে ঝাঁকে স্মৃতির খোঁজে ছুটে;
পান্থনিবাস খোঁজে ফিরে দূর নীলিমার পটে।
শূন্য বীণা কোন আলেয়ায় মূর্ছা খেয়ে যায়?
দীপ্ত শশী ভাবনা লুটায় সিক্ত বিভার ছায়।
দুঃখ-সুখের সীমার মাঝেই খামখেয়ালির হাত
অস্তাচলের সূর্য এসে তাড়িয়ে নেয় রাত।
দিন কেটে যায় মুক্ত শিরায় রাত কাটিয়ে ভোর
সিক্ত শশীর দীপ্ত ছটায় ক্লান্তি কর দূর।
ছুঁয়ো না তাচ্ছিল্যে তামস, ধর নিবিড় করে
ক্লান্তি এসে দিক ভরিয়ে প্রাবল্যের জোয়ার
অমোঘ নিয়তিরে করে পরিহাস বেদনা জড়াও
অলক বিভাসে ঝলসে যাক যাপনের কাল
আশার সুরম্য প্রাসাদ গড়ি এসো বালিয়াড়ি তটে
ভাসিয়ে দিই জীবনতরী আশার পূর্ণচ্ছেদে।
____________________
⭐কবিতাটি "বাইনারি সুখের পিদিম" (পৃষ্ঠা-৭২) কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত।