চাক্ষুষ বাস্তব অমান্য করি বারবার,
সবই ভীষণ অলীক মনে হয়।
এই যে আলোকিত চারধার,
আসলে তা অন্ধকার রাস্তা এক।
যার মাঝে হ্যালোজেনের আলোয়
অঝোরে বৃষ্টি, বৃষ্টির ভিতরে আমি ও আমার চোখ।
সারা শরীর জুড়ে শব্দেরা ঝরছে, ঝরে পড়ছে
ফেলে আসা দিন। আমি সেই দিনেরই লোক।
জানো তো? না জানলে বলি তোমায়, শোনো -  
জীবন বলে কোথাও কিচ্ছুটি নেই, সবটাই
কবিতা, গল্প অথবা না লেখা সাদা পাতা।
বিশ্বাস করো, লেখালিখি বলেও তেমন কিছুই নেই।
অক্ষর আগুনের মতো উষ্ণ আদরে পোড়ায় যে শব,
এখনো একমনে লিখে যাই সেই মৃতদেহকেই...

আচ্ছা, সকালের আলো এলে কি করো তুমি?
আমি সকাল বলতে সাময়িক বিন্দুকে বুঝি এক।
ঘুম ভাঙ্গার পর...
মুহূর্তের যে অণুতম পল, সেই ক্ষণটিকে।
সূচাগ্র সময়ের জলে নিবিড় চুমু খাই রোজ,
আমার আমিকে ফের মনে পড়ে যায়।
এরপর দিন গিলে খায় আমায়-তোমায়।

এটুকুই বেঁচে থাকা, একদিন এও শেষ হবে।
ঘর থেকে ঘরে যাবে নাছোড় অনুভূতির দল।
তাদের যা কিছু কথা বা আলাপচারিতা সব,
আমাদেরই হাতে গড়া অথচ আমাদের নয়।
নিজেকে ফিরিয়ে দিয়ে বুঝেছি এখন,
চিরে গেলে শব্দেরা ঝরে...
বাকি অবিরল স্রোত, অকারণ, অপচয়।
---------------------------------------------
* বিভিন্ন ব্যস্ততায় আসরে নিয়মিত উপস্থিত থাকতে পারছিনা। সহযাত্রীরা স্বগুণে মার্জনা করবেন।