একটি কবিতা লিখব,
যাতে নেই কোন ভাব,রসের আবেশ।
একটি মায়ের জলছাপ,কপলে বিরক্তির
রেখা,চোখে অগ্নিস্ফুলিঙ্গ,
বাবার ঠোট চাপা কান্না বসে আছে
কৃষ্ণের মুখ চেয়ে।
যতই কষ্ট হোক তবুও অশ্রুহীন,
একটি কবিতা লিখবই।
কবিতার প্রারম্ভে,
তরুণীর প্রাণ খোলা হাশি,যার
চুলগুলো অগোছালো,
একঝাক তরুণীর মাঝে যে ছিল
অনন্তযৌবনা,কবিতার নাবালিকা।
বিষ্ণু-ব্রহ্মা মিলে যার ঠোট
একেছিল,
লাল ফুটফুটে চেহারায় সদা হাশির
যহিলিক।
একটি কবিতা লিখব,
যেখানে ঐ নাবালিকা "মাল" হয়ে
হেরেছিল শিবভক্তের কাছে,
তাজা শিশুটিকে ধাবিত করেছিল
কৃষ্ণ
গহবরের দিকে।
"ভাইয়া তোমাদেরও ভোন আছে"
সে হেরেছিল গোটাকয়েক
ভাইয়াদের
কাছে।
একটি কবিতা লিখব,
যেখানে তরুণী বিচার নিয়ে
গিয়েছিল ভগবানের কাছে,
পশুত্বের সাক্ষী দেখতে চেয়ে
সিলিং
ফ্যানের সাথেই ঝুলিয়ে দেয়।
নিঃস্পাপ জিভ পরে আছে ঠোটের
উপর,
শ্বেত শুভ্র বদনে লেপটে আছে বিষাদ
নীলিমা।
শেষমেষ একটি কবিতাই লিখলাম,
যা দেখেছিলাম মিডিয়া-কাগজের
বাণিজ্যিক পাতায়।
বাবা তাই স্তব্ধ কৃষ্ণের বরদান পেতে,
মা-কে পাওয়া যায় সবজি ক্ষেতের
কোণে ফেনাভর্তি মুখে।
অবশেষে হাজার কবিতার ভিড়ে
হারিয়েগেল,
আমার রসহীন একটি কবিতা।