আমাদের দ্যাখা হয়েছিলো জানুয়ারীর শীতে,তখন রোদ খ্যালতো  দুপুর ১২টায়,
সেদিন চবি'র মেরিন ট্যাক'এ ভর্তি পরীক্ষা ছিলো,ভীরের মধ্যে চিনেছিলাম এক পাশে পরিপাটি চুলের ভেতর "ভিনাসের" আভাস,
শাটল ট্রেনের ছাদে বেসুরো গানের পান্ডুলিপী লিখে রেখেছিলো আমাদের সময়ের কথা,
"তোমরা কেউ কি দিতে পারো প্রেমিকার ভালোবাসা" থেকে ব্যাক্তিগত জীবন দর্শন শেষ হয় সেখানেই।
আমাদের জীবন থেমে থাকে এমন ছোট ছোট স্মৃতি বিজরিত ছোট খাটো দ্যাখা হওয়াতেই,
চলে যাই সেগুলো থেকে দূর-দূরান্তের স্টেশনে চড়ে,যেখানে বাতাসেরা আমাদের একা কোরে দেয় নীল দিগন্তে,এবং আমাদের ছেড়ে আসতে হয়।
এক সিগারেটের হাওয়া যখন দু-ঠোটের ছোয়া পেয়ে চলে যায় ট্রোপোমন্ডলে,
সেই সিগারেটের পরে থাকা ফিল্টার মনে রাখে আমাদের আলাপন গুলি,সেখান থেকে চিঠি পাঠায় মেঘের দেবীকে-"মহৎ কবিতার ঈশ্বর" "মুখ ঢেকে রাখে অসংখ্য মুখোশে",
আমাদের মনে রাখে "হ্যা।অনাহুত ভাই না!" এসব ছোট খাটো সংকেত,
ভুলে যাওয়া আমাদের স্বভাবের মাঝেও কিছু কিছু না ভোলা সম্পর্কই বাঁচিয়ে রাখে আমাদের,তাই কবিতারা বেঁচে   থাকে হাজারো বছর,
অথচ,প্রান বাঁচে ষাট কিংবা সত্তর।
এবং আমরা বেচে থাকি কবিতায়।
এই কবিতাই আমাদের বানিয়ে দ্যায়,
মহৎ ঈশ্বর।
অথচ আমরা নশ্বর।


(#উৎসর্গ :- কবি সাঈদ এ্যালিয়াস শো ভাইকে)