তোমাকে ভালোবাসি বোলে আজো স্বপ্ন দেখি সুন্দরের,
তোমাকে ঘিরেই গাই আমাদের সমতার গান।
তোমাকে ভালোবাসি বোলেই আজো রাজপথে স্লোগানের উল্লাসে ভেসে ভুলে যাই রবীন্দ্র সংগীত,
আমার মাঝেই তৈরী কোরি এক দুঃসাহসী ক্ষুদিরাম।
দেয়ালের কবিতা'য়-গানে-নাটকে-জল্পনা -কল্পনায় তোমাকে বসবাস যোগ্য হৃদয় বানাবার তাগিদেই দাড়িয়ে যাই গর্জনশীল কামানের সম্মুখে,
কখনওবা কবিতা নিয়ে হামলা কোরি চৌরাস্তায়।
তোমাকে ভালোবাসলে কেমন এক অদ্ভুত পাহাড় হয়ে যাই,
যার মাথা নত কোরার কোনো ভয় নেই,
যে কিনা বুলেটের বুক ঝাজড়া কোরার শক্তির বিপরীতে খসিয়ে দিতে পারে শিলাখন্ড।
তোমাকে ভালোবাসি বোলে পথের ধারে-এভেন্যুর মোরে-শহীদ মিনার কিংবা স্মৃতিস্তম্ভে যেখানে-সেখানে পতাকা নিয়ে দাঁড়িয়ে গেয়ে উঠি জাতীয় সংগীত,
হাতকড়া পরাবে জেনেও কাধে-কাধ মিলিয়ে নেমে যাই মেহনতি-মজদুরের অধিকার আদায়ে।
তোমাকে ভালোবাসি বোলে শ্রমবিমুখ-বধির-কুৎসিত রাষ্ট্র-ব্যাবসায়ীদের চাটুকারিতা কোরতে পারিনা,
প্রতিবাদী আমার পা চালিয়ে দেই তাদের বুকে-পিঠে।
তোমাকে ভালোবাসি বোলে প্রেমিকার ঠোট চুম্বনের আগে শতবার বন্দনা কোরি পৃথিবীর,
আমার মানচিত্রে চাষ কোরি সাম্যের বীজ।
আমাদের সহজ-সরল তোমাকে চাওয়া কী অন্যায়?
আমাদের শিশুদের জন্য ফুলের বীজ বপন কী পাপ?
এই পঁচা-গলা অসম সংবিধান পুড়িয়ে দিয়ে সমতার তোমাকে চাওয়া কী অযৌক্তিক?
না কি তোমাকে ভালোবাসা মানে-
দূর্বৃত্ততা!
যুদ্ধাপরাধ!
প্রতিহিংসা!
আতংকবাদীতা!
তোমাকে ভালোবাসা-তোমাকে চাওয়া-তোমাকে পাওয়া -
যদি অন্যায় হয় তবে সেই অন্যায় আমি কোরবো,
পাপ হলে হাবীয়ায় যাবো,
সুন্দরের জন্য এ লড়াই এ আমি দূর্বৃত্ত হব,
রাজাকার হব,
প্রতিহিংসা-র দাবদাহে জ্বালিয়ে দেব কুৎসিত ঐ রাষ্ট্রযন্ত্র,
আতংক ছড়িয়ে দিব অনাদিকালের পাপী ঈশ্বরদের বিরুদ্ধে।
আমাদের এই সরল-সুফলা ভূমির উর্বরতা বিনষ্ট কোরছে গুটি কয়েক অসুস্থ-স্টুপিড,
তোমাকে ভালোবাসার দায়ে আমাকে
আটকে রাখতে চায়,
চোখ বন্ধ কোরে দিতে চায়,
অনাহারে-অর্ধাহারে মেরে ফেলতে চায়,
খাঁচাবন্দী কোরতে চায়,
কণ্ঠের ধার কেড়ে নিতে চায়,
কলম ভেঙে দিতে চায়,
খাতা কেড়ে নিতে চায়,
জিভ কেটে দিতে চায়,
আঙুল ভেঙে দিতে চায়,
তারা আমার অনুভূতি এবোর্শন কোরে ফেলে দিতে চায় কোনো এক রাস্তার পাশে।
তোমাকে ভালোবাসি বোলে আমি সব দুঃখ-কষ্ট-অনাহার-অর্ধাহার-ধর্ম-বর্ন-বেড়ী-হাতকড়া-খাঁচা-শিকল সব কিছুকে ভেঙে-গুড়ে, দুমড়ে-মুচড়ে সোজা হয়ে ওদের বিরূদ্ধে রচনা কোরি আমার কবিতার ১৪৪ ধারা,
আমি আবার মিছিলে যাই,
আমি আবার মিটিং ডাকি বিপ্লবের,
আমি আবার চিৎকার কোরে পাঠ কোরি "বিদ্রোহী"
আবার গেয়ে উঠি "কারার ঐ লৌহ কপাট"
আবার জড়ো হয়ে জুতো মারি ওদের মুখে-বুকে-মাথায়-কপালে।
আমি জানি,
একদিন এই ভাইরাস ধারী রাস্কেল গুলোকে ধুলোয় মিশাতে পারবো,
আমার কবিতা'য় খুচিয়ে-খুচিয়ে রক্তাক্ত কোরে মাটিতে ফেলতে পারবো,
লাথি দিয়ে বুকের পাঁজর ভাঙতে পারবো,
এই কুৎসিত-রাষ্ট্রযন্ত্র সমেত বন্ধি কোরতে পারবো,
মুছে ফেলতে পারবো তাদের শেষ চিহ্ন এই সুন্দর পৃথিবী থেকে।
সেদিন আর
ধর্মের ভেদাভেদে মানুষ-মানুষের রক্ত খাবে না,
বর্ণভেদে কালো-সাদাকে আটকে রাখবেনা,
শ্রমহীন অলস মানুষের জন্ম হবেনা,
খাদ্যাভাবে কেউ মারা যাবেনা,
চিকিৎসাহীনতায় ভুগবে না।
তখন আমরা
শিক্ষায় সমতা পাবো,
ইচ্ছার সমতা পাবো,
খেলায় সমতা পাবো,
নারী-পুরুষে সমতা পাবো,
স্বপ্নে সমতা পাবো,
লক্ষে সমতা পাবো,
আমরা অনাদিকাল বেঁচে থাকার ইচ্ছা পাবো এ পৃথিবীতে।
আমার এসব সুন্দরের চাওয়া গুলোকে জরাক্রান্ত শকুনির ছোবল থেকে ছিনিয়ে আনতেই আজন্ম লিখে যাবো-
আমার "বাংলাদেশের জন্য কবিতা"।