আমার সংসার হইলো
নানান রকম বায়না রাখার মানুষ হইলো,
তোমাকে ভোলার সাহসই কেবল হইলো না।
ঘাসে ভরে গেল পেছন পালান
রোদ পড়ে গেলে এখানে শিশুরা বউচি খেলে
কখনো উদ্দাম বেগে হাওয়া ছুটে যায়
পাকা ধানের গন্ধের মতো, তোমার নেশা হয়।
তোমার ব্যস্ত পুরুষ, হঠাৎ কখনো সময় ভুলে যায়
জোছনার মেঘের মতো ছটফটিয়ে উঠে তোমার খেয়াল।
সেদিন হয়তো আমাকে তোমার মনে পড়ে না।
অথচ, যখনই কাচা রাস্তায় বিকেল-দুপুরে সাইকেল যায়
যতদূর তার ঘন্টা বাজে, বিষন্ন স্বরে কান্নার মতো
আমার কেবলই বুক চেপে ধরে।
কুয়াশায় কুয়াশায় মাখামাখি করে চোখের পলক।
মধ্যরাতে টপটপানি বৃষ্টির সুর,
আমার কেবলই তোমার গলায় গান মনে হয়।
আমি হয়তো তোমার ঘরের খেলনা আলো।
তোমার শিশুর কপালে আঁকানো নজর-কালো।
আমি হয়তো আয়নার কোণে ভুলে যাওয়া টিপ।
ঠাকুর ঘরের সকাল-সন্ধ্যা পুজোর প্রদীপ।
তুমিতো আমার পরম আদরের পোষা কানাবক।
তুমি,
যেন সপ্তাহ শেষের পুরো এক পাড়া আমুখতা সবক।