প্রায় মধ্যরাত,
ক্লান্ত প্রকৃতি গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন,
বাড়ির দেয়ালে সাদা বেড়ালের পায়চারী।
মাথার ওপর ঘুরন্ত সিলিং ফ্যান,
বাতাসে এলোমেলো ডায়েরীর পাতা।
আমি একা জেগে রই
বসে জানালার পাশে,
মনে করছি কোনো একজনকে।
হ্যা,তোমাকেই;তোমাকেই মনে করছি,
কি করছো তুমি?
জেগে আছো?নাকি ঘুমিয়ে?
নিশ্চই ঘুমিয়ে।
আমিতো ঘুমোইনি।
জোৎস্না রাতে উজ্জল আকাশের তারা গুণছি।
আর তুমি বুঝি স্বপ্ন বুনছো?
কি স্বপ্ন?বলবে কি?
আজ রাতের আকাশটা আসলেই সুন্দর,
হতো আরো সুন্দর,যদি তুমি জেগে থাকতে।
ওঠোনা একটু জেগে,
দেখ আকাশটার দিকে,
সুন্দর না!
ঐযে তারাদের দিকে দেখ,
ওরাও জেগে আছে তোমার জন্য।
বিধাতাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
চাঁদটা দেখ,সেও জেগে
একা একা প্রহর গুণছে।
খুব ভাল হতো
যদি দুটো চাঁদ হতো,
একটা তোমার,একটা আমার।
জানালার পাশে এসে বসো,
বাতাসকে বলেছি তোমায় ছুয়ে দিতে।
আরে! সাদা বেড়ালটা গেল কোথায়?
ঝিঁঝিঁ পোকারাও ডাকছে না খুব একটা।
নেই চাদের বুড়িটাও,
নিশ্চই ঘুমিয়ে পড়েছে।
আমারও তারা গোণা প্রায় শেষ,
ঘুমও পাচ্ছে বেশ,
যাও ঘুমিয়ে পড় গিয়ে।
আমিও এখন ঘুমোবো।
আর শোনো!মনে করে চাঁদের কাছ থেকে
আমার চিঠিটা নিয়ে নিও।