জীবনের ত্রিশটি বছর কাটিয়ে এসে বুঝলাম
মানুষ আমার মতো নয়- অবশেষে মানলাম।
পরীক্ষার দুনিয়ায় মানুষ বড়ই স্বার্থপর
প্রয়োজনেই প্রিয়জন হয়ে যাবার
ভালো সেজে অভিনয় করে মাত্র
আর আমি এতোটা বছর বোকা বনে যাওয়া পাত্র।
ত্রিশটি বছর যেন ভুলে ভরা অধ্যায়-
নিজের কাছেই জীবন আজ বড়ই রহস্যময় !
হতাশায়-নিরাশায় আত্মাকে আশার বাণী শুনিয়ে
আজও শুন্য- এক পাহাড় সমান আঘাত নিয়ে,
দূরন্ত শৈশব-আবেগের কিশোর-যৌবনের তাড়না
সবকিছু ফেলে বাস্তবতার কাঠগড়ায় দন্ডিত
মুক্তি পাবার পথ নেই- ইচ্ছেগুলো স্থম্ভিত
একটা সময় অনেকেই ছিলো- এখন কেউ খবর রাখেনা।
এ অসহায়ে উপকার করে যেজন
তাঁর প্রতিদান দিতে পারিনা তেমন,
বিপদে বিনা স্বার্থে যার করি উপকার
সে ভুলে গিয়ে হয়ে যায় অকৃতজ্ঞ-অচেনার।
উদার হৃদয়ে যারে ভালোবেসেছি
তার থেকেও অসহ্য যাতনা পেয়েছি,
অবহেলা পেলেই প্রেমের সৃষ্টি হয়
অবজ্ঞা থেকে পরানে পাথর চাপা রয়।
জন্মদাতা-জন্মদাত্রীর স্নেহমাখা মানুষটি বোঝা হলাম
জীবনের কাছে হেরে গিয়ে কিবা পেলাম?
আজ জীবনের আনন্দ বর্ণহীন
এই উচ্ছসিত মানুষটা থেমে গেছি- হয়েছি মূল্যহীন।
পাওয়া না পাওয়ার হিসেবে ব্যর্থ জীবন; সহমরণ
সকল আকাঙ্খা দুমরে-মুচরে প্রদ্বীপের নিভুনিভু প্রাণ,
জীবনের ত্রিশটি বছর কেবল মানুষ হবার অভিজ্ঞতা
সকল মানুষই এক- অথচ পার্থক্যে বহুরূপতা।
অতৃপ্ত আত্মা অতৃপ্তই থেকে গেছে
ত্রিশটি বছর নিয়তি আমায় ভুলে ভুলে সাজিয়েছে।