নানার বাড়ির এক পাশে নদী
একে বেঁকে বয়ে চলে
জলেতে ছড়ায় সোনালী আভা
সূর্য্য যখন ঢলে
ছৈলা বৃক্ষ সারি বেঁধে সেথা
দাঁড়িয়ে নদীর তীরে
পাল তোলা নায় মাঝি দার বায়
সকাল সন্ধা ভিড়ে
বিহানে সেথায় কাঁঠালের শাখে
পাখিদের গুঞ্জন
শালুক কুড়াতে শিশুদের সাথে
ঘুরে ফিরি সারাক্ষন
ব্যাঙ্গ ছানা ভরা পুকুরের জল
ছাকিয়া করেছি স্নান
স্মৃতির ভেলায় ভেসে বেড়ায় আজও
হয়নি তো কিছু ম্লান
বেল পুকুরে ডুবে কেঁপে ঠক ঠক
পৌষের তেতো জলে
শীতের পায়েস পিঠে খেয়েছিনু
মিঠে রোদে দলে বলে
রাত জেগে সেই ধর্ম জালের
ছটফটে মাছ দেখা
হয়না বুঝি আর কোনদিন
কারোর ভাগ্যে লেখা
মাছে ভরা সেই বড় পুকুরের
শান বাঁধা ঘাটে ঘুরি
আজ আর ভাইয়েরা স্নান করেনা
দল বেঁধে সবে জুড়ি
নিত্য দুপুরে ডাবের আড্ডা
আজ আর জমেনা বনে
প্রত্যুসে কাঁচা খেজুর রসের স্বাদ
আজ জাগে বড়ো মনে
মামির হাতের মজা সব রাঁধা
মোরব্বা, খাট্রা আচার
কত যুগ ধরে হারায়েছে সবে
নসিবে হয়না আর
হয়না নানার দোয়া অনুষ্ঠান
নাইয়োরি আসেনা ভরে
ঘর বাড়ি আর বৃক্ষরাজি রা
কাঁদিতেছে অনাদরে
বন জংলায় ভরেছে বাগান
ভরে বাড়ি চারি ধার
বড় দুঃসাধ্য আজি অনুভব করা
এতো সমাগম ছিল তার।
সাহায্যে লাগি ভিখারি অাজ আর
দুয়ারে বাঁধেনা সারি
উঠান ভরিয়া সুকায় না ধান
পাকায় না হারি হারি
আজ আর জমেনা নানার বাড়িতে
ভাই বোনে সেই মেলা
আঙ্গিনা ভরায়ে সন্ধা গড়ায়ে
হয়না বৌছি খেলা
প্রবাসি মামাদের আগমন ঘটেনা
জমেনা লোকের ভিড়
কেমনে পাষানি ম্লান হয়ে গেলি
ইতিহাস তেলি খালির।