তিনি বললেন,ওর মাতো বেঁচে আছে।ওযে বলেছিল ওর মা নেই?আমি আবারও অবাক হলাম।রাবেয়াকে লক্ষ করে বললাম মাকে নিয়ে এমন মিছে কেউ বলে? মেয়েটি বলল এসব যদি না বলতাম তবে কি আপনি কাজের মেয়ে হিসাবে স্থান দিতেন? এবার শুধু অনুরোধের পর অনুরোধ করতে লাগল, জানাবেননা আমি আছি কোথায়।আমি বললাম, মা বাবা তোমার দু চোখের জলে করিতেছে হায়।জানাল আমায়, ঠিকানা দিলে এখান থেকেও পালিয়ে যাইবে ফের।বললাম পথ ঘাট মোটেই নিরাপদ নহে এখানেই আছ ঢের।বারতি ফোনটি হাতে দিলাম মায়ের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রেখ ঠিকানা না দাও এতটুকু জানাও কিভাবে কেমন আছ।এবার সে মাকে ফোন দিয়ে বলল আম্মু আমি কিন্তু তোমাদের ফোন দিতে চাইনি,যে আপুর কাছে আছি, উনি বলেছেন তোমার মা বাবা পেরেশানির মধ্যে আছে,তাদের আগে সান্তনা দাও তাই ফোন দিলাম।আমি তোমার কোলে যেমন ছিলাম তেমনই আছি।আমায় নিয়ে অযথা চিন্তা করিওনা মিছামিছি।তোমরা থাকিও সুখে।আমাকে তোমরা আর পাবেনা যতদিন বিয়ে নাম নিবে মুখে।দুদিন বাড়িতে পাঠিয়ে ছিলাম কোথায় গিয়ে ছিলে? প্রথম দিন এক রিকসা ওয়ালাকে ভাই বানিয়ে তার নাম্বার চেয়ে ছিলাম।সে নাম্বার দিতে রাজি হলনা।বলল দোকান থেকে ফোন দিবে তাই আপনার নাম্বারটা তাকে দিয়ে এসেছিলাম।দ্বিতীয় দিনে আপনার কথাই হয়েছে গুন্ডা পিছু লেগেছে।আমাকে বলেছে আপা শহরে চলেন,নাস্তা করি ইত্যাদি।ওখানের এক মহিলা আমাকে ইশারা দিলে কিছুটা সাহস পেলাম রাতে ওনার বাড়িতে ছিলাম।মহিলা বেশ ভালো।আমার এখানে আসার পরে একদিন বলল যে মহিলা আশ্রয় দিয়েছে তারে সাথে একটু দেখা করতে যাব।আমি যেতে দিলাম।ওখান থেকে আসার পরে শুনলাম রাতে নাকি ঐ মহিলার স্বামীর কাছে গুন্ডারা ফোন দিয়ে যুবতীকে চেয়ে ছিল, লোকটা দিতে না করায় সকাল বেলা ওরা মেয়েটির সন্ধানে মহিলার বাড়িতে এলো।ততক্ষণে মেয়েটি ওখান থেকে চলে গিয়েছিল। বখাটে ছেলেরা মেয়েটিকে না পেয়ে অবশেষে চলে গেল।আমি অবাক হয়ে সব শুনলাম আর ওকে বুঝালাম যে দেখ এভাবে জীবনের সাথে সংগ্রাম করে মেয়েরা চলতে পারেনা।এটা ছেলেদের পক্ষে সম্ভাব।বিবাহের উপযুক্ত মেয়ে কাজে রাখতে চাইবনা তাই পড়া শুনায় রত এই মেয়েটি অবিবাহিত হওয়া সও্বেয় নিজেকে বিবাহিত এবং তালাক প্রাপ্ত সাজিয়েছে।প্রশ্ন করলাম অবিবাহিত হওয়া সও্বেয় কেন এমন কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছো বিয়ে করবেনা বলে?প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে বলতে লাগল জীবনে যত সংগ্রাম দরকার হয় সে কোরবে।সাজ সুখ কিছু চায়না শুধু দু মুঠো খেয়ে বাঁচতে চায়।আরও বলে পরোকালের ভয় না থাকলে এ জীবন বিসর্জন দিয়ে দিতাম।বাঁচার ও দরকার হতনা।আমি বুঝতে পারলাম আরো একটি সিনেমার কাহিনি এর ভিতর আছে যা আজ ও অজানা।অবশেষে বললাম সব কথাই তো মিথ্যা বলেছিলে নামটাও কি মিথ্যা বলেছ?এবার তার আসল নাম বলে হেসে দিল।
কবিতাটি ৭৩২ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের সময়: ২০/১১/২০১৬, ১৯:০৬ মি: