আমার বাড়ি (লিমেরিক)
দক্ষিনের দুই বারান্দা জুড়ে ফুটেছে রঙিন ফুল
বাতাসে তাহার গন্ধ ছড়ায় মাথা নেড়ে খায় দোল
তারই মাঝে আছে চৌমুখি পথ
কেউ দেখে কভু করেনা অমত
প্রভাত আলোয় গোধূলি কালোয় ভরায় মনের কুল
সেই পথে হাটে কিশোরিরা কত মেলে দিয়ে এলোচুল
হাতেতে পরেছে সোনার কাঁকন কানেতে সেনার দুল
উচু থেকে উচু দেয়ালে ঘেরা
বাড়িটি আমার দেখতে সেরা
চওড়া লোহার কপাট ভেরাতে হয়না তো কভু ভুল।
বাবলারা সেথা ছড়ায়েছে শাখা,তলে বিছায়েছে মূল
কিষানির ছেলে মেঠো পথে খেলে গায়ে মাখে কাদা ধুল।
পূবে উওরে দোতলা বাড়ি
ইট পাথরে রয়েছে দাড়ি
পশ্চিমে তার বিশাল পুকুরে বাড়িটি করে অতুল
তার অদুরে একে বেকে আছে রূপো রং ছোট নদী
জুড়াবে নয়ন ভরাবে পরান একবার এসো যদি
দুই ধারে কাশ,ছৈলার ফুল
পারাপারে তার আছে বড় পুল
কতজন তাতে যায় আসে, স্রোত বয় নিরবধি
আছে মাদ্রাসা আছে মসজিদ পাঠশালা আছে আর
মাঝে মাঝে আছে নয়নাভিরাম সবুজের সমাহার
ঘুম ভাঙ্গে সেথা পাখিদের ডাকে
মিনার হইতে আযান হাকে
জোছনারা রাতে প্রাকৃতির সাথে মিলে মিশে একাকার।