মধুবাবু সৎ ব্যাক্তি ঘুষ খায় না কভু।
সামান্য যা মাইনে পায়
টেনে টুনে দিন যায়।
অাত্মতৃপ্তি নিয়ে ভাবে , ভালই রেখেছো প্রভু।
হঠাৎ হঠাৎ খটকা লাগে
নীতি তাকে অাছড়ে মারে ।
পদে পদে সব দপ্তরে হাই কোট দেখে যখন
টাকার পায়ে চাকা দিয়ে এগোতে হয় তখন।
সুযোগ পেলে রিকশা চালক বাড়িয়ে দেয় ভাড়া
কাজের লোকও সময়মত দেখায় তার তাড়া।
বাস কাউন্টার, টিকিট মাষ্টার
বড় সাহেবের পিয়ন , দাড়োয়ান
কেউ থাকে না বাদ ।
বাজার বুঝে সবজ্বিওয়ালাও করতে চায় কাত।
পিঁপড়া হাতি সকল জাতি বেতনে নয়তো খুশি
চাকাওয়ালা টাকা চায়
মন্দ বললে কি অাসে যায়।
এভাবেই তো সবাই চলে, হবে কেন দোষী?
মধু বাবু ভাবে বসে
চোখ বুজে অার কপাল ঘষে
বেতন যা পাই তাতে অামি ভাল যদিও চলি
চাকার খরচ বেতন হতে কি করে তুলি ?
লাফিয়ে উঠে মধুবাবু নেইতো ভাবনা অার
চাকার টাকায় চাকা লাগিয়ে চুকাবে দরবার।
দুই পকেটের প্যান্ট অাছে
অাছে মজার চাকরি ।
এক পকেটে মাইনে থাকবে অন্যটাতে উপরি।
মধুবাবু ভাবে বসে এ নয়তো দুনীর্তি ?
কষ্টের টাকায় হবে না অার শয়তানী প্রীতি।
মধুবাবুও এক সময় সব করে নেয় বরণ
প্রথম প্রথম মন্দ লাগলেও সততার হয় মরণ।