তোমাকে লিখতে গেলেই তুমি ছুঁয়ে যাও আমায়,
গাছের গল্পে তুমি তার সবুজ পাতার ছায়া।
ফুলের কথা লিখলেই তুমি সুগন্ধ হয়ে মেশো,
জল লিখতে গেলে তুমি ঢেউয়ের মতো ভাসো।
রাতের তারায় তুমি আলোর আভাস দাও,
চুপচাপ বসে থেকে সুরে সুরে মিশে যাও।
বৃষ্টি লিখলেই তুমি স্পর্শের স্নিগ্ধতা,
মাটির গল্পে তুমি তার গন্ধের উষ্ণতা।
রোদের উষ্ণতায় তুমি স্নিগ্ধ কোমলতা,
চাঁদের আলোয় তুমি খুঁজে পাও মায়ার ব্যঞ্জনা।
সূর্য লেখার সময় তুমি তার তেজস্বী রূপ,
সন্ধ্যার গোধূলিতে তুমি এক আকাশের ঢেউ।
তোমার ছোঁয়ায় আমার শব্দেরা নতুন রং পায়,
যা লিখতে যাই, তাতেই তুমি রয়ে যাও।
তুমি আছো অনুভবের গভীরে, নীরব স্পর্শে,
প্রতিটি কথার ভাঁজে তোমার উপস্থিতি।
তুমি যেন বাতাসের মতো, সবখানে ছড়ানো,
অদৃশ্য মায়ার চাদরে আমায় ঘিরে রাখো।
তোমাকে লিখতে গেলেই শব্দেরা জেগে ওঠে,
তুমি আমার কবিতার অলিখিত সুর।
প্রকৃতির রং, আলোর ছায়া—তুমিই সেই ছবি,
তুমি আমার প্রতিটি কবিতার আত্মা।
যা বলতে যাই, তোমার সুরে তা বাঁধা পড়ে,
তুমি যেন আমার কাব্যের নিঃশব্দ প্রকাশ।
তোমায় ছাড়া সবকিছু যেন ফাঁকা, নিস্তব্ধ,
তুমি মিশে আছো প্রতিটি কবিতার প্রাণে।
যা-ই লিখতে যাই, তাতেই তোমার ছায়া,
আমার প্রতিটি শব্দে তুমি হয়ে থাকো আমার গান।